মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত লিটন আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীকে নজর এড়িয়ে মাদক ব্যবসা করত

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৫২ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০৮ পিএম

জামিনে বের হয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. লিটন হাওলাদারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। সোমবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৩৪ মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায় সে।

মঙ্গলবার সকালে র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানান।

র‍্যাব জানায়, ২০১৮ সালের ১৭ মে সালে ডিএমপির কদমতলী থানায় মাদক মামলার আসামি লিটন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা হয়। মামলায় ৩৪ মাস জেল খাটার পর ২০২১ সালে জামিনে বের হয়ে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে থাকে। আদালত উক্ত মাদক মামলার অবগত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণসহ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ ও বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩, ২০২২ সালের ২৩ জুন সালে আসামি মো. লিটন হাওলাদারকে (৪৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেন।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ০৬ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ লিটন হাওলাদার (৪৫) গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবের সিনিয়র এএসপি ফজলুল হক জানায়, গ্রেপ্তার আসামি এক জন পেশাদার মাদক চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে মাদক এর ২টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনীভাবে সীমান্ত জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য রাজধানীর ঢাকায় নিয়ে এসে তার অন্যান্য সংঘবদ্ধ সহযোগীদের কাছে সরবরাহ পূর্বক মাদক ব্যবসা করে আসছিলো।

তিনি বলেন, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি উক্ত মামলায় ৩৪ মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

মানুষ জামায়াতকে নেতৃত্বে দেখতে চায় -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
আ’লীগ ১৭ বছরে বিএনপিকে একটি ইফতার মাহফিলও করতে দেয়নি- ফখরুল ইসলাম
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে ঃ মিয়া গোলাম পরওয়ার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নদীর দখলদার উচ্ছেদ না হওয়ায় হাতাশা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরে ডুবে ১৪ মাসের শিশুর মৃত্যু
আরও
X

আরও পড়ুন

মানুষ জামায়াতকে নেতৃত্বে দেখতে চায় -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

মানুষ জামায়াতকে নেতৃত্বে দেখতে চায় -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

আ’লীগ ১৭ বছরে বিএনপিকে একটি ইফতার মাহফিলও করতে দেয়নি-  ফখরুল ইসলাম

আ’লীগ ১৭ বছরে বিএনপিকে একটি ইফতার মাহফিলও করতে দেয়নি- ফখরুল ইসলাম

পারিবারিক বন্ধন জোরদার করুন

পারিবারিক বন্ধন জোরদার করুন

খাল কেটে কুমির আনার পরিণতি

খাল কেটে কুমির আনার পরিণতি

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে ঃ মিয়া গোলাম পরওয়ার

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে ঃ মিয়া গোলাম পরওয়ার

নারীর উপযুক্ত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে

নারীর উপযুক্ত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

পঞ্চগড় থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন, আশা সারজিসের

পঞ্চগড় থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন, আশা সারজিসের

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

কুরআনের মাস রমজান

কুরআনের মাস রমজান

মাহে রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম

মাহে রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম

তাকওয়া অর্জন ও গুনাহ থেকে পরিত্রাণের মাস রমজান

তাকওয়া অর্জন ও গুনাহ থেকে পরিত্রাণের মাস রমজান

কুরআনের মাসে হোক কুরআনপ্রীতি

কুরআনের মাসে হোক কুরআনপ্রীতি

ফেসবুকে পড়শীর রান্নার রেসিপি

ফেসবুকে পড়শীর রান্নার রেসিপি

নতুন শিল্পীর সাথে গাইলেন আসিফ আকবর

নতুন শিল্পীর সাথে গাইলেন আসিফ আকবর

বরখাস্ত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে নির্দেশ মার্কিন আদালতের

বরখাস্ত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পাকিস্তানের হানিয়া আমিরের বালিউড যাত্রা

পাকিস্তানের হানিয়া আমিরের বালিউড যাত্রা

সুস্থ হয়ে গানে ফিরলেন সাবিনা ইয়াসমিন

সুস্থ হয়ে গানে ফিরলেন সাবিনা ইয়াসমিন

ঈদ ‘ইত্যাদি’র নাচে একসঙ্গে চার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী

ঈদ ‘ইত্যাদি’র নাচে একসঙ্গে চার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী

চাটমোহরে চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

চাটমোহরে চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন