নারীর উপযুক্ত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে
১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২২ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২২ এএম

স্রষ্টার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হচ্ছে মানুষ। নারী-পুরুষ মিলেই মানুষ। সকলের অধিকার সমান। অবদানও সমান। তাই ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি হচ্ছে নারী-পুরুষের অধিকার সমান। কর্মজীবী নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে বেশি। কারণ, কর্মজীবী নারীদের কর্মস্থলের পাশাপাশি ঘরের যাবতীয় কাজ করতে হয়। পুরুষের তা করতে হয় না। এই অবস্থা মানবজাতির সৃষ্টির পর থেকে প্রবর্তিত হয়েছে এবং তা চলবে অনাদিকাল পর্যন্ত। তাই যে বাড়ি, যে সমাজ, যে দেশ নারীর শিক্ষা ও মর্যাদায় পুরুষের ন্যায় গুরুত্ব দিয়েছে এবং সফল হয়েছে, তারা তত বেশি শান্তি ও উন্নতি করতে পেরেছে। তাই নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর সারা বিশ্বেই ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণভাবে। তাতে সকলেই নারীর উন্নতি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে। এ বছরও সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। জাতিসংঘের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন/নারী ও কন্যার উন্নয়ন’। কিন্তু এতকিছুর পরও কি নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী নির্যাতন বন্ধ হয়েছে? নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি হয়েছে? মোটেও না। গত ৬ মার্চ ইউএন উইমেন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে অব্যাহত রয়েছে। জীবদ্দশায় প্রায় তিনজনের মধ্যে একজন নারী তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হন অথবা তাঁর সঙ্গীর বাইরের কারও দ্বারা যৌন সহিংসতার শিকার হন’। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত ৭ মার্চ বলেছেন, ‘নারীদের প্রতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা বৈষম্য এখন নিত্য-নতুন হুমকির কারণে আরো প্রকট হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘এটি সেই কাঠামোগুলো ভেঙে ফেলার ব্যাপার, যা বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখে এবং এটি একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার ব্যাপার, যা সবার জন্য কল্যাণকর হবে’। গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, নগদ সুবিধা, বেকারভাতা, পেনশন, এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে লিঙ্গ-বৈষম্য নারী ও মেয়েদের দারিদ্র্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বর্তমানে, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী মহিলাদের একই বয়সের পুরুষদের তুলনায় চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করার আশঙ্কা ২৫ শতাংশেরও বেশি। সংস্থাটি আরো বলেছে, বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন অর্জনের জন্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। নারীর প্রতি নৃশংসতা স্থান-দেশ ভেদে ভিন্নতা রয়েছে। তবে, অশিক্ষিত, দরিদ্র ও অনগ্রসর সমাজ ও দেশে নারী বিদ্বেষ ও নির্যাতন বেশি। নারীরা শুধুমাত্র পুরুষের দ্বারাই নির্যাতিত, বঞ্চিত ইত্যাদি হয় না, নারী কর্তৃকও নারীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার অনেক। নারী মুক্তির নামে কতিপয় নারী সমাজ, দেশ ও ধর্মীয় বিধান বিরোধী নানা কর্মকা-ে লিপ্ত রয়েছে। তাতে নারী জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক উন্নতির জন্য অনেক নারী পণ্য হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে, যা সভ্যতার কলঙ্ক।
বাংলাদেশের উন্নতিতে নারীর অবদান ব্যাপক। দেশ-বিদেশের সর্বত্রই বাংলাদেশি নারীদের কৃতিত্ব ও অবদান অনেক। সর্বোপরি দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তবুও নারীদের ন্যায্য দাবি বা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। ক্ষমতায়ন আশানুরূপ নয়। তারা অনবরত বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এবং দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর এবং জাতীয় সংসদের প্রধান নারী হওয়া সত্ত্বেও দেশে নারী বিদ্বেষ কমেনি। নারী নির্যাতন বন্ধ হয়নি! খুন ও ধর্ষণ কমেনি। অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। খবরে প্রকাশ, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তদন্তাধীন ব্যতীত প্রকৃত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩৪টি। এর মধ্যে কেবল পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩২ হাজার ৯৭২টি। এর বাইরে আরো বহু ঘটনা রয়েছে, যার মামলা হয়নি। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদন-২০২৪ মতে, ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৯তম, স্কোর ০.৬৮৯ (২০২৩ সালে ছিল ৫৯তম, স্কোর ০.৭২২ ও ২০২২ সালে ছিল ৭১তম)। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও সুযোগ নিশ্চিতে যথেষ্ট আইনি সুরক্ষা নেই। এ সম্পর্কিত আইনকানুন যতটুকু আছে, তার বাস্তবায়নও ভালো নয়। এতে নারীর অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিতে আইনকানুন প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন দুই ক্ষেত্রেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ অঞ্চলের আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে সপ্তম স্থানে। ৯ মার্চ ২০২৪ ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে গেলেও, বাংলাদেশে এখনো তারা পিছিয়ে আছেন। উপরন্তু সম্প্রতি দেশের সর্বত্রই খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে’। অর্থাৎ এখন দেশের ঘরে-বাইরের কোথাও নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা নেই। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ২৯৪ জন নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৯৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং ৪৪ জন শিশুও রয়েছে। ফলে দেশের নারীরা চরম আতংকিত হয়ে পড়েছে। তাই খুন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সমগ্র দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। দেশের সর্বত্রই গগন বিদারী আওয়াজ উঠেছে, নারীদের রক্ষা কর। ধর্ষকদের মৃত্যুদ-ের দাবিও প্রবল হয়েছে। প্রমাণিত ধর্ষকদের নপুংসক করা হলে ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে বলে প-িতদের অভিমত। অপরদিকে, দেশের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে উন্নয়ন সহযোগীরাও ব্যাপক সোচ্চার হয়েছে। একশনএইড বাংলাদেশ, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যৌথভাবে দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব ঘটনায় অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। এই অবস্থায় ধর্ষণের মামলার তদন্ত ১৫ দিনে এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে করার বিধান করার কাজ চলছে। নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, কটূক্তি, ইভটিজিং, হেনস্থা, যৌন হয়রানি বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হটলাইন সেবা চালু করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
যা’হোক, ওদশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, প্রাণিসম্পদ খাতে নারীর অংশগ্রহণ ৮৮.২ শতাংশ। জাতীয় জনসংখ্যা ও শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, কৃষিতে নারীর সংখ্যা কোটিতে উন্নীত হয়েছে। পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকের ৮০ শতাংশ নারী। সরকারি দপ্তরসমূহে নারীর সংখ্যা ২০ শতাংশেরও নিচে। গার্মেন্ট ছাড়া প্রাইভেট সেক্টরের কাজে নারীর অংশগ্রহণ নগন্য। সিপিডির গবেষণা রিপোর্ট মতে, জিডিপিতে নারীর অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। সংসারের ভেতর ও বাইরের কাজের মূল্য ধরা হলে নারীর এ অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশে। অপরদিকে, বিআইডিএসের গবেষণা রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশের নারীরা গৃহস্থালিতে অবৈতনিক যে কাজ করেন, টাকায় তার মূল্য জিডিপির ১৪.৮ শতাংশের সমপরিমাণ। অর্থাৎ ঘরে-বাইরে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্বায়ন, মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে নয়া সংকট, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার সৃষ্ট অর্থনীতিসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি চরম সংকটজনক, আমদানি নির্ভরতা ইত্যাদি সংকট মোকাবেলা করে দেশের কাক্সিক্ষত সার্বিক উন্নতি করতে হবে। সে লক্ষ্যে জনসম্পদের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। নারী জনশক্তিকে ঘরে বন্দি করে রেখে, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে ও উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত না করে দেশের কাক্সিক্ষত সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত: ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করাও সম্ভব নয়। তাই দেশের নারীর ক্ষমতায়ন আবশ্যক। দেশের নারীর ক্ষতি হচ্ছে, ঘনঘন সন্তান গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য, পুষ্টি ও সুচিকিৎসার ঘাটতিতে। এতে শরীর ও শ্রমশক্তি দুর্বল হচ্ছে, যা দেশের উন্নতির চরম অন্তরায়! তাই এসব বন্ধ করতে হবে এবং নারী বিদ্বেষমূলক সব ধরনের কাজ কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। উপরন্তু দেশের সব নারীকে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে যোগ্যতা অনুযায়ী ক্ষমতায়ন করতে হবে। নারী ও শিশু সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা এবং কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে। দেশের নারীদেরও উচিত নিজেদের স্বীয় মর্যাদা রক্ষা ও ক্ষমতায়নের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা। স্বীয় কৃষ্টি-কালচার ও আইন এবং ধর্মীয় বিধান মেনে চলা। বেগম রোকেয়া এসব মেনেই চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। তাই তার পথ অনুসরণ এবং নারী মুক্তির নামে উগ্রতাকে পরিহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত: সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে প্রবাদ বাক্যকে বাস্তবায়ন করতে হবে। নারী দ্বারা নারীর ক্ষতিও বন্ধ করতে হবে। এসব হলেই নারীর মযাদা বৃদ্ধি পাবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বাউফলে উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রীর চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

সিরাজদিখানে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় অটোরিকশা খাদে, প্রাণ গেল কৃষকের

খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

মামলা দেয়ার কথা বলে টাকা চাইবার কারবার করবেন না : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভুটানসহ ৪৩টি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ট্রাম্প

ঈদগাঁওতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত-১, আহত-৫

বিভিন্ন দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত সাংবাদিক আলা হাশিমের মৃত্যু

ঝিকরগাছায় সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

গুলশানে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

বাবা খ্রিস্টান, মা হিন্দু তবু কেন মুসলিম পদবী ব্যবহার করেন দিয়া!

নিকলীতে ২২ হাজার শিশুকে দেওয়া হয়েছে ভিটামিন এ

আছিয়ার বাড়িতে জামায়াত আমির, আর্থিক সহায়তাসহ পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হেলপার নিহত

মির্জাপুরে মহাসড়কে উল্টে যাওয়া ট্রাক সরাতে গিয়ে শ্রমিক নিহত হাইওয়ে ওসি সার্জেন্টসহ চার পুলিশ আহত

যানজট নিরসনের আইডিয়া দেয়ার জন্য বৃত্তি দিচ্ছে দুবাই

ট্রাম্পের আহ্বানের পর পুতিনের সিদ্ধান্ত, ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের ডাক

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নোয়াখালীর চৌমুহনী হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়ল ৬ দোকান

কেরানীগঞ্জে মৌসুমি ব্রিকসে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান