যশোরে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী
০৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৫ এএম

দৃঢ় আর্দশ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে এবং এই চেতনা ধারণ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে "এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি" অনুষ্ঠানে তিনমুক্তিযোদ্ধা নতুন প্রজন্মদের শিক্ষার্থীদের এই আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চা বৃদ্ধি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস। অনুষ্ঠানে জিলা স্কুলের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের একে একে মুক্তিযুদ্ধের দুঃসাহসিক যুদ্ধ দিনের কাহিনি শোনান বৃহত্তর যশোরের মুজিববাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, জেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার এ এইচ এম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের গল্প এবং যুদ্ধে নিজেদের স্মৃতিচারণ করে তিন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম বলেই আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যেখানে তোমরা স্বাধীনভাবে সবকিছু করতে পারছো। নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের জন্য বাঙালিরা যুদ্ধ করেছিল বলেই আজ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তোমরা এখানে বসতে পেরেছ। তিন মুক্তিযোদ্ধাই মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তবতা-হানাদার আর রাজাকারদের নৃশংসতা যেমন তুলে ধরেন, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত কর্মতৎপরতাও ফুটে তুলেন। একই সাথে এই দেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরেন।
সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করতে তিনটা বিষয় লাগে। দেশপ্রেম, সাহস আর মনোবল। ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা নিজে বাঁচো, শত্রু মারো আর দ্রুত প্রস্থান নাও এই তিনটি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ৯ মাস যুদ্ধ করেছি। কখনো পিছো হটেনি। সাহজ মনোবল হারেনি। রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য দেশের সকল অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। তাই নতুন প্রজন্মকে এ ক্ষেত্রে অগ্রনি ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি নতুন প্রজন্ম ধারণ না করো তাহলে ভর্বিষৎে তোমরা ভালো মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, এতদিন আমরা বইয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতাম। আজ সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে খুব ভালো লাগলো, অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম। অনুষ্ঠান শেষে ভাষা আন্দলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ৯জন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার যশোরের উপ পরিচালক হুসেইন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম।
বিভাগ : বাংলাদেশ
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন