পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া বিভেদ করেছেন, শেখ হাসিনা শান্তি সম্প্রীতি গড়েছেন : তথ্যমন্ত্রী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া বিভেদ করেছেন, শেখ হাসিনা শান্তি সম্প্রীতি গড়েছেন। তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন, আর শেখ হাসিনা সেই বিভেদ দূর করে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করেছেন। এখন বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট নেই, সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন যে সব ঘটনা, তা শুধু চাঁদাবাজির কারণে।" আজ শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে-সমতলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বে আয়তনের দিক দিয়ে ৯২তম ও মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষিজমির দেশ হয়েও আমরা ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করে পৃথিবীতে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়-তৃতীয়তে ওঠানামা, সবজিতে চতুর্থ, আলুতে সপ্তম, আম উৎপাদনে দ্বিতীয়, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। এটি শুধুমাত্র শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু,দেশের এ পরিবর্তন বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের সহ্য হচ্ছে না, খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে, আর মির্জা ফখরুল বকবক করছেন।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের “সরকারকে দড়ি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে’ বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "১০ ডিসেম্বর সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই চিৎপটাং হয়ে গেছে। এরপর টান দিলে দড়ি ছিঁড়ে তাদের হামাগুড়ি দিতে হবে। সরকারের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত এবং আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, কৃষক-শ্রমিকের দল, রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।"
কৃষক লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কৃষিপ্রীতি তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, "২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সভার প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল কৃষি ও কৃষকের জন্য ভর্তুকি প্রদান। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষক ও কৃষিকে কত ভালোবাসেন, গণভবনে কৃষি উৎপাদনের কথা আপনারা টিভিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। গণভবনে মৌমাছির চাষ করে একশ' কেজি মধু হয়েছে। অন্যান্য শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে, ধানও হচ্ছে। সেখানে অন্য প্রধানমন্ত্রীরাও ছিলেন, খালেদা জিয়াও ছিলেন, তারা কেউ এটি করতে পারেননি।"
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা সেই প্রধানমন্ত্রী যিনি রাত বারোটার আগে ঘুমুতে যেতে পারেন না, ফজরের আজানের আগে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়েন, আজানের পর ফজরের নামাজ পড়েন, কোরআন তেলাওয়াত করেন, দেশ পরিচালনা করেন, দল পরিচালনা করেন আবার কিষাণী হিসেবেও কাজ করেন'। কৃষক লীগ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন যা সমগ্র দেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুসংগঠিত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করেছেন। সেই সময় থেকে প্রথমে বছরে এক মাস, পরে বছরে তিন মাসব্যাপী এ অভিযান চলে আসছে। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখনও কৃষক লীগ কৃষকের কল্যাণে কাজ করে গেছে।
এর আগে সকালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পটুয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের বেঁধে রেখে টাকা লুট ও ব্যবসায়ী অপহরণ
মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শতাধিক এতিম শিশুকে ইউএনওর কম্বল উপহার
‘আল্লাহ মানব জাতিকে সম্মান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন’
আরও

আরও পড়ুন

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে জনতার বাজার চালু হচ্ছে

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে জনতার বাজার চালু হচ্ছে

কারওয়ান বাজার এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ রাসেল জমাদ্দার গ্রেফতার

কারওয়ান বাজার এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ রাসেল জমাদ্দার গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের বেঁধে রেখে টাকা লুট ও ব্যবসায়ী অপহরণ

পটুয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের বেঁধে রেখে টাকা লুট ও ব্যবসায়ী অপহরণ

দূর থেকেই শত্রুর সাবমেরিন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে সউদি

দূর থেকেই শত্রুর সাবমেরিন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে সউদি

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে

গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার আহ্বান, ডেনমার্ক থেকে মুক্তি চায় প্রধানমন্ত্রী মিউতে এগেদে

কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...

কিশোরগঞ্জে শীতের বাহারি পিঠা বিক্রির ধুম...

বিদায় বেলায় ইরানের পরমানু স্থাপনায় হামলার খায়েস বাইডেনের

বিদায় বেলায় ইরানের পরমানু স্থাপনায় হামলার খায়েস বাইডেনের

‘এইচএমপিভি’ এশিয়ায় নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

‘এইচএমপিভি’ এশিয়ায় নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা : নিউ অরলিন্স সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হামলা : নিউ অরলিন্স সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বিয়ে করেছেন তাহসান খান, নতুন বছরের সেরা চমক

বিয়ে করেছেন তাহসান খান, নতুন বছরের সেরা চমক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প–সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুনরায় নির্বাচিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প–সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুনরায় নির্বাচিত

ঢাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ১৯ চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ঢাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ১৯ চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারী গ্রেফতার

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

সিরিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটি নিয়ে জার্মানিকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

সিরিয়ায় রুশ সামরিক ঘাঁটি নিয়ে জার্মানিকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

আজ ঢাকায় উঁকি দিতে পারে সূর্য, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

আজ ঢাকায় উঁকি দিতে পারে সূর্য, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশ সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশ সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সউদী আরবের সিরিয়ার পুনর্গঠনে সমর্থন,পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

সউদী আরবের সিরিয়ার পুনর্গঠনে সমর্থন,পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

কাজাখস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, দুমড়েমুচড়ে গেল প্রায় ১০০ গাড়ি

কাজাখস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, দুমড়েমুচড়ে গেল প্রায় ১০০ গাড়ি

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার শেষ আশা ক্ষমা

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার শেষ আশা ক্ষমা