স্বপ্ন পূরণ হলো ২১ জেলার মানুষের, স্বপ্নের ট্রেনে রেলমন্ত্রী
০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৩ এএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে স্বপ্নের ট্রেন নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুর ১ টা ২১ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্যেশ্যে ট্রেন ছাড়ে।
যাত্রা শুরুর আগে রেলমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বপ্ন একটা একটা করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে; তারই অংশ হিসেবে আজ ট্রাইল ট্রেন চলছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে এবং সে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আমরাই রেলকে যশোর পর্যন্ত নিয়ে যাব; তবে তার জন্য আমাদের ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাইদ আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আমাদের তিন মাস সময় দেরি হয়েছিল। তার পরেও সময় মতো কাজ শেষ করতে পারায় আমরা আনন্দিত। ইতিমধ্যে আমাদের এই অংশের কাজের ৯২ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি কাজই প্রকল্প মেয়াদ এর মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। দক্ষিণ বাংলার ২১ জেলার বাসিন্দা দের কাছে স্বপ্ন ছিল সেতু দিয়ে নদী পার হওয়ার। সেটা পূরণ হচ্ছে। গত বছর ২৫ জুন শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আজ তার সাথে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে ট্রেন চালুর মাধ্যমে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু , নাহিম রাজ্জাক, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সাগুপতা ইয়াসমিন এমিলি, আবদুস সোবহান গোলাপ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
সামনে ট্র্যাক কার তার পিছনে ৭ বগির বিশেষ ট্রেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর দিকে যাত্রা করে মন্ত্রী উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে। গন্তব্য পদ্মা সেতু পার হয়ে মাওয়া রেল স্টেশনে যাওয়া। ভাঙ্গা স্টেশন হতে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার । ওই ৪২ কিলোমিটার পথে রেল চালানো হচ্ছে।
এ ছাড়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, রেলওয়ে ও রেল লিংক প্রকল্পের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা ট্রেনে উঠেন। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর ও মাওয়া প্রান্তের ১ নম্বর পিলারে আতশবাজি ফাটিয়ে উচ্ছাস ও আনন্দ প্রকাশ করা হয়।
পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্প সূত্র জানায়, যাত্রীদের ট্রেনে চলাচলের জন্য ভাঙ্গা হতে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৪টি স্টেশন ও ১টি জংশন স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। তা হল- ভাঙ্গা স্টেশন, ভাঙ্গা জংশন স্টেশন, শিবচর স্টেশন, পদ্মা স্টেশন ও মাওয়া স্টেশন। দুপুরে ৭ বগির বিশেষ ট্রেন ও রেল ট্রাককারটি পদ্মা সেতুর দিকে রওনা হয়। দুই ঘন্টায় ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুপুর আড়াইটায় সেতু পার হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায়। পথিমধ্যে শিবচর ও পদ্মা ষ্টেশনে দাঁড়ায় ট্রেনটি।
পদ্মা নদীর তীরে অতিক্রম করে প্রথম যে ট্রেনটি সেটি চালিয়ে নিয়ে যান রবিউল আলম (৪৩)। এর আগে সোমবার (০৩ এপ্রিল) রাতে এই বিশেষ ট্রেনটি সৈয়দপুর থেকে ঈশ্বরদী পোড়াদাহ হয়ে রাজবাড়ী ফরিদপুর হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনে আসে।
চালক রবিউল আলম জানান, পদ্মা নদীর উপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছি আমি , বিষয়টা ভাবতেই সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ঘটনাটি তিনি জানতে পারেন এবং তারপর থেকেই তিনি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন।
এই বিষয় দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথায় ফরিদপুরপুরে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর এম এ সামাদ সাহেবের সাথে তিনি বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে এখন ফরিদপুর স্টেশন থেকে সরাসরি রেলে ঢাকায় যাওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয়,কেন্দ্রীেয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জনাব, ফারুক হোসেনের সাথে তিনি বলেন, সন্তানকে বড় করার জন্য একজন আদর্শবান মায়ের যতো প্রকার স্বপ্ন থাকে ঠিক সেই রকম স্বপ্ন পুরন করলেন,, মমতাময়ী "" মা" জননেত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরবাসীর জন্য।। আমি নেত্রী সফলতা কামনায় একজন প্রশংসাকারী কর্মী মাত্র।
ইনকিলাবের সাথে কথায় বৃহওর জেলার এ যাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক যিনি সত্যিই মানুষের কস্টের ভাষা বুঝেন, তিনি হলেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক জনাব, কামরুল আসহসান তালুকদারের। তিনি বলেন, ফরিদপুরের মানুষ এতটাই ভাগ্যবান যে তারা স্বপনের পদ্মাসেতু, রেলসেতু দুটোই একসাথে উপহার পেলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। আমি হয়তো পদ্মাসেতু উদ্ধোধনের সময় অন্য জেলার দায়ীত্বে ছিলাম, আজ পদ্মা রেলসেতু উদ্ধোধনের সাধ মিটাতে পেরে এই অঞ্চের তথা ২১ জেলাবাসীর আনন্দের সাথে এক সাথে থাকতে পেরে আমিও ধন্য। বৃহওর ফরিদপুর হয়ে উঠলো আপার সম্ভবনাময় অর্থনীতি ও কৃষিতে বিল্ববীয় একটি জেলা। এই জেলার কৃষকরা ফরিদপুরের ফসল তুলে তথা সকালের শিশির ভেজা তাজা তরিতরকারি তথা সকল প্রকার কাঁচামাল নিয়ে সকলে ঢাকা যাবে বেশী দামে বিক্রী করে দুপুর এসে বাড়ীর খাবার খাবে। এ সব কিছুই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কস্টের ফসল।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সিরিয়ার সাবেক বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন
ফেসবুকে কাকে ননসেন্স বললেন শবনম বুবলী
বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় আবারো প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যাপক সাইদুর
পানির ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন আ. লীগের ‘ভাইরাল নেত্রী’ কাবেরী
সাঁথিয়ায় করিমনে ট্রাকের ধাক্কায় তিন কৃষিশ্রমিক নিহত, আহত ৫
ঢাকার সাথে আর কোনও সমস্যা বাড়াতে চায় না নয়াদিল্লি: দ্য হিন্দু
যুক্তরাষ্ট্রে বিপজ্জনক সামুদ্রিক ঢেউ ও টর্নেডোর আঘাত, এক জনের মৃত্যু
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সাগরে আটকা পড়া ৭২ পর্যটক উদ্ধার
‘ইন্ডিয়া’ থেকে কংগ্রেসের বহিষ্কার চায় কেজরিওয়ালের দল!
নরওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত, গুরুতর আহত ৪
ঐক্য-সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ
ইহুদিদের ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
কাকরাইলে সাদপন্থিদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইয়েমেনে ইসরাইলি হামলা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেন ও গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি
হেলিকপ্টারে সফর নিয়ে বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ মাহমুদ
কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হলো সিসিটিভি ভিডিও
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা
টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডময় ৩৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্মিথ