যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেল রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯ পিএম
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ৬৫০ মেগাওয়াট রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। উৎপাদন বন্ধের তথ্যটি একদিন পরে সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিঃ (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। কবে নাগাদ এটি চালু করা সম্ভব হবে তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন দ্রুত মেরামতের পর উৎপাদন আবার চালু হবে। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়েছিল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এদিকে, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর। খুলনা- বাগেরহাটসহ এই অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও উৎপাদন শুরু করা হবে। বর্তমানে কেন্দ্রে কোন কয়লা সংকট নেই। পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রয়েছে। বেশকিছু কয়লা আমদানি করা হয়েছে। যা এখন পথে রয়েছে। যেকোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহন শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে এ বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রীডের সাথে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রীডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের বিদ্যুৎ। পরে ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রায় একমাস পরে কয়লা প্রাপ্তি সাপেক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টায় আবারও প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবীতে উত্তাল বাগেরহাট
নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুরি ও আগুন লাগানোর ঘটনায় দুই জন গ্রেফতার
বিএনপি-জামায়াতের বাড়িঘরে হামলার নির্দেশ দিলেন হাসিনা
ভক্তরা ভুলে যায়নি লিয়াম পেইনকে, একটার পর একটা গান জায়গা করে নিচ্ছে ব্রিটিশ সংগীতের টপ চার্টে
মানিকগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার
কালীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করতে হবে : জামায়াত আমির
নবীরা বলে গেছেন, কিয়ামতের শুরু হবে মধ্যপ্রাচ্যেই: ট্রাম্প
গাজায় আরও ৪৫ জন নিহত,চার সেনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ইরানের
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জরুরি বৈঠকের আহ্বান জাতিসংঘের
বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক
তিনি যুদ্ধ নয়, শান্তি চান, ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন আরব ও মুসলিম নেতারা
পণবন্দীদের মুক্তির শর্তে নেতাদের গাজা থেকে সরে যাওয়ার ইসরাইলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
কালিয়াকৈরে রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
'অসাধারণ ১০ দক্ষিণি সিনেমা যা পাল্টে দিতে পারে আপনাকে'
ওসমানীনগরে মহাসড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’,গ্রেফতার ২
প্রেসিডেন্ট ইস্যুতে কোন হটকারি সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহবান: মির্জা ফখরুল
ক্ল্যাসিকোয় এমবাপের অন্যরকম রেকর্ড
ভাত খাওয়ার পরে এই কাজগুলো ডেকে আনতে পারে বিপদ!