কক্সবাজারের ঈদ বাজারে গরম ও ঢাকার মার্কেট গুলোর অগ্নিকান্ডের প্রভাব, ক্রেতা সংখা কম, পণ্যমূল্য বেশী

কক্সবাজার ব্যুরো

২০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৩৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম

কক্সবাজারের ঈদ মার্কেটে পড়েছে গরম এবং বঙ্গবাজার সহ ঢাকার ঈদ শপিং মার্কেটগুলোর অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব। এতে করে একদিকে যেমন বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। অন্যদিকে দোকানগুলোতে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। গতকাল শহরের বড়বাজার এলাকার মার্কেটগুলো এবং কৃষি অফিস সড়কের মার্কেটগুলোতে সরে জমিনে ঘুরে জানা গেছে এ তথ্য। তবে শেষ মুহুর্তে ঈদবাজারে কিছুটা ক্রেতা বেড়েছে।

প্রচন্ড দাবদাহে দিনের বেলায় ক্রেতা শূন্যতার কারণে মার্কেটগুলো প্রায় বন্ধ থাকে বললেই চলে। সন্ধ্যার পর থেকে জমে উঠে মার্কেটগুলো চলে গভীর রাত পর্যন্তই। মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে মহিলাদের সংখ্যাধিক্য। মহিলারাই শপিং করছেন বেশি। কয়েকজন ক্রেতা জানান পাঞ্জাবি শাড়ি ছেলোয়ার ও শার্টের দাম রমজানের আগে যা ছিল তা এখন তিন গুণ বেশি কোন ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি দাম নেয়া হচ্ছে দোকান গুলোতে।
কয়েকজন দোকান মালিক বলেন একদিকে বঙ্গ বাজার সহ ঢাকার বিভিন্ন ঈদ বাজারগুলো আগুনে পড়ে যাওয়ায় তাদের পণ্য শর্ট পড়েছে। তাছাড়া যা তারা পাচ্ছেন তার দাম কয়েক গুণ বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই তাদের বিক্রির ক্ষেত্রেও বেশি দাম নিতে হচ্ছে।

এদিকে দেখা গেছে ঈদ বাজারগুলোতে 'আম্মাজান' 'আব্বাজান' ইত্যাদি নাম দিয়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের পণ্য বিক্রির ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলেও তারা দাম দিচ্ছেন অকল্পনীয়। সচেতন ক্রেতাদের মতে এই মার্কেটগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো দরকার।

কয়েকজন দোকান মালিক সমিতি নেতা এই বিষয়গুলো স্বীকার করলেও তারা নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। তাদের মধ্যে কিছু কিছু ব্যবসায়ী চড়া মূল্য পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন। অপরদিকে ঈদ উৎসব বলেই ক্রেতারা যেনতেন দামে তাদের পছন্দের পণ্যগুলো ক্রয় করে ঠকছেন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভালো মানের মার্কেট গড়ে উঠায় কক্সবাজার শহরে শপিং করার পরিবর্তে উপজেলা পর্যায়ের ক্রেতারা সেখানেই তাদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। এই কারণে ও কক্সবাজার শহরের শপিংমল গুলোতে ক্রেতা সংখ্যা কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।#

বিভাগ : বাংলাদেশ