ঈদের আনন্দ নেই জেলেপাড়ায়, চলছে নীরব হাহাকার
২১ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৩ এএম
রাত পোহালেই ঈদ। ঈদ আনন্দে মেতে উঠবেন সবাই। শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ । প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত , সেই সময়ে দৌলতখানের জেলেপাড়ার চিত্র ভিন্ন । ঈদ এলেও, ঈদের আমেজ নেই জেলে পরিবারের মাঝে। উপজেলা মৎস্যবিভাগের সূত্রমতে, মার্চ-এপ্রিল ২ মাস মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গরু ও উপকরণ দেওয়া দেওয়া হয়।
জেলে পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে মাছ ধরতে না পারায় জেলেরা পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। ঈদে স্ত্রী - সন্তানের নতুন জামা- কাপড় কেনা তো দূরের কথা, দু'বেলা দুমুঠো খেতেই হিমশিম খাচ্ছেন জেলেরা। জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সরকারি আইন মেনে দুই মাস তারা নদীতে নামছে না। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও নেই। কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা। এসময়ে সরকারি খাদ্য সহায়তার চালও ঠিকমতো পাচ্ছেন না জেলেরা। ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। এনজিওর কর্মকর্তার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক জেলে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে উপজেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবারের।
দৌলতখানের বটতলা মাছঘাট এলাকার মালেক মাঝি বলেন, 'নদীতে মাছ ধরইয়্যা সংসার চালাই। অভিযানের কারনে নদীতে নামতে পারিনা, সংসার চলবে কেমনে।' গুপ্তগঞ্জ ঘাটের জেলে ইউছুপ আলী বলেন, 'অভিযানের মধ্যে সরকার চাউল দেয়, তাও ঠিকমতো পাইনা। আমাগো চাউল সবাই খায়।' সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন মাছঘাটে জেলেরা পুরনো জাল সেলাইয়ের কাজ করছে। কেউ কেউ নৌকা মেরামত করছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে নদীতে ইলিশ শিকারে ছুটবেন তারা। তাই জাল সেলাই ও নৌকা মেরামত করে সময় পার করছেন। দিন শেষে মালিক কিছু টাকা দেয়, তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। ভবানীপুর ইউনিয়নের মৎস্য ব্যবসায়ী আঃ মন্নান বলেন, নদীতে ২ মাস সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছ না ধরলে জেলেদের সংসার চলে না। ঈদে পরিবারের জন্য নতুন পোশাক কেনা, সংসারের খরচ মিটানো সবই ধারদেনা করে হচ্ছে। দৌলতখান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন ইনকিলাবকে বলেন, দৌলতখানে ৩০ হাজারেরও বেশি জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর মধ্যে ২২ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এখন মার্চ- এপ্রিল দু' মাস অভয়াশ্রম। এসময়ে মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকায় জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধকালীন সময়ে মৎস্যবিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে নদী থেকে সবধরনের অবৈধ জাল উচ্ছেদ করেছে। এসময়ে জেলেরা ৪০ কেজি করে ৪ মাস চাল পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ২ মাসের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলেদের বিকল্প কর্মস্থান হিসেবে গরুসহ উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। তবে চালের পরিমাণ বাড়ানো হলে জেলেরা আরও বেশি উপকৃত হত।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নয়ন মিয়ার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না : যুবদল সভাপতি মুন্না
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামীলীগের পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার
একই কর্মস্থলে অর্ধ যুগ কাটিয়েছেন পিআইও রেজা, করেছেন প্রকল্পের টাকা হরিলুট
আওয়ামীলীগ শাসনামলে যশোরে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রদর্শিত অস্ত্রের কোনো হদিস নেই
যে আইন বাংলাদেশে চলে, সেই আইনে পার্বত্য অঞ্চলেও চলবে -কুমিল্লার সমাবেশে ফয়জুল করিম চরমোনাই
সীতাকু-ের বিতর্কিত সাবেক সহকারী কমিশনার চট্টগামের এডিসি হলেন
ফরাজীকান্দি নেদায়ে ইসলাম ওয়েসীয়ান ছাত্রদের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা.) উপলক্ষে আনন্দ র্যালি
ব্রুনাইয়ে ভবন থেকে পড়ে গফরগাঁওয়ের প্রবাসী নিহত
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান