বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হলো রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর
২৪ এপ্রিল ২০২৩, ০১:২৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৭ পিএম
বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে সাভারের আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ১০বছর পূর্ণ হলো।
সোমবার সকাল থেকে রানা-প্লাজার সামনে অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। এছাড়া আহত নিহতের পরিবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।
রানা প্লাজায় ফুল দিয়ে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানোর সময় চোখের জলে স্মৃতিচারণা করেন আহত শ্রমিক ও স্বজনরা।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিলো- গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ), ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, ল্যাম্পপোষ্ট, গণমুক্তির গানের দল, রানা প্লাজা ভিকটিম এবং জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, রানা প্লাজা সারভাইভারস এসোসিয়েশন, রানা প্লাজা গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন।
পরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেন। এসময় তারা অবিলম্বে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসির দাবি জানান।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ১০ বছর আগে এই দিনে হাজারের বেশি শ্রমিক ভবনের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। এখনো ওই শ্রমিকদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি। এমনকি তাদের পুনর্বাসনও হয়নি। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও পুর্নবাসন ব্যবস্থা করা, রানা প্লাজা ঘটনার জন্য দায়ী সকলের বিচার, দেশের শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিক বান্ধব আইন গড়ে তোলা, দেশের সব শিল্প খাতে আহত শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও সরকারি ভাতার ব্যবস্থা দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, রানা প্লাজা ধসের ১০বছর অতিবাহিত হলেও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসাও দাবী জানান এ নেতা।
আহত শ্রমিক আয়শা বেগম জানালেন, ভীমের নীচে চাপা পরে মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গেছে, অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না তিনি। কষ্ট হলেও নিহতদের স্মরনে ফুল দিতে এসেছেন।
এরআগে রবিবার সন্ধ্যায় রানা প্লাজার অস্থায়ী শহীদ বেদিতে মোমবাতি জালিয়ে নিহতদের স্মরণ করে তাদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত; ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পরপরই সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। এ দূর্ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দূর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এদূর্ঘটনায় সাধারণ জনগণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালায়। ভবনটিতে পোশাক কারখানা, একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্যান্য দোকান ছিল।
ভবনটিতে ফাটল থাকার কারণে ভবন না ব্যবহারের সতর্কবার্তা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছিল। এই দূর্ঘটনাটি ছিল বাংলাদেশে ঘটা সবচেয়ে বড় শিল্পদূর্ঘটনা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু