মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে ফিরল রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল
০৫ মে ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
বাংলাদেশে পালিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন পরিবেশ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের নেতৃত্বে ২০জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২৭সদস্যের প্রতিনিধি দল সংক্ষিপ্ত সফর শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরে এসেছে। এই সফরে শরণার্থী ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করলেও রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ২৪নং লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪জন, ২৬নং শালবাগান ক্যাম্পের ১৪জন এবং ২৭নং জাদিমোড়া ক্যাম্পের ২জনসহ মোট ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের মংডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সেখানে পৌঁছার পর মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাত করে প্রত্যাবাসন পরিবেশ পরিস্থিতি স্বরূপ রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরীকৃত শেল্টার সমুহ পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে দেশে ফিরে এসেছে।
মুলত রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ প্রত্যাবাসন উপযোগী কি না, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণ করা শেল্টার পরিদর্শন এবং সে দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সন্ধ্যায় ফিরে এসে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সফরের বিস্তারিত জানান। তিনি এই পরিবেশ পরিস্থিতি সন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রতিনিধি দলের কয়েকজন রোহিঙ্গা সদস্য সরাসরি আগে ফেলে আসা তাদের বসত-বাড়িতে অবস্থানের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন। তবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে। কোন রোহিঙ্গাকে জোর করে প্রত্যাবাসন করা হবে না।
এদিকে চীনের কুটনৈতিক তৎপরতায় প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মংডু আঞ্চলিক পরিচালক অং মা ইউয়ের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসে। তখন ৭দিনে ১৪৭টি পরিবারের প্রায় ৫শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের তথ্য যাচাই শেষে স্বদেশ ফিরে যান। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের যাছাই-বাছাই করা ১হাজার ১শ ৭৬জন রোহিঙ্গাকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সেনা অভিযান এবং রাখাইন প্রদেশে গণহত্যায় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ রক্ষার্থে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ১ম সময় সীমা ঠিক হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে দাবী করায় সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালের ২২আগস্ট বাংলাদেশ ২য় বারের মতো প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হয়নি। ৩য় বারের মতো বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বদেশ প্রত্যাবাসনের জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম