বরিশালে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা জমজমাট
১২ মে ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম | আপডেট: ১২ মে ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
মনোনয়নপত্র দাখিলের তিন দিন বাকি থাকলেও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র সহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা পুরো ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিক বরাদ্বের আগে কোন প্রার্থীর প্রকাশ্য ও গোপনে প্রচারনার সুযোগ না থালেও সে বিধি ভেঙে তফসিল ঘোষনার পর থেকেই প্রচারনার মাৎেঠ রয়েছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীরা। এছাড়া নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রকাশ্যে প্রচারনায় রয়েছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সাফল্য, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে রিটার্ণিং অফিসারে দপ্তরে তলব করে কারণ দর্শানোর জবাব গ্রহন সহ নগরীর কিছু ব্যানার অপসারনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
আগামী ১৬ মে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন অতিক্রমের পরে ১৮ মে তা বাছাই করা হবে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। এর পরে প্রতিক বরাদ্ব শেষে প্রচারনা শুরু করার কথা ২৭ মে থেকে। কিন্তু বরিশাল মহানগরীতে সিটি নির্বাচনের প্রচারনা শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিলের চুড়ান্ত সীমার একমাস আগেই। এমনকি রিটার্ণিং কর্মকর্তা নিয়োগের আগেই এনগরীতে অনানুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করেন মেয়র প্রার্থীরা।
কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতা সহ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তাগন খুব সচেতনা না হওয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তবে শেষ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে সতর্ক করতে গিয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরন সহ নির্বাচনী প্রচারনা নিয়ে গনসংযোগ করার বিষয়টি রিটার্ণিং কর্মকর্তা ওয়াকিবাহল নন বলেও জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর অভিযোগের জবাবে জানিয়েছেন।
তবে এরপরেও এ নগরবাসী ২০১৮’র চেয়ে একটি ভাল নির্বাচন আশা করছেন এবার। এ নগর পরিষদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল,বিএনপি কোন অবস্থাতেই অংশ গ্রহন না করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত নগরীতে তেমন কোন পুলিশী তৎড়তাও লক্ষ্যনীয় নয়। ২০১৮’এর নির্বাচনে সরকারী দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তৎকালীন পুলিশ-প্রশাসনের ভ’মিকা যথেষ্ঠ প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারী গ্রেফতার সহ একজন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ক্ষমতার সব ধরনের অপব্যাবহারের নজির স্থাপন করেছিলেন কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা। এবার পরিস্থিতি এখনো সে পর্যায়ে না থাকায় সাধারন মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।
তবে জাতীয় পার্টি প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার নিকটজন বলে দাবী করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবী করেছেন। তিনি ইভিএম বাদ দিয়ে বিচারিক ক্ষমতা সহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী করলেও আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীরা এখনো এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল পূর্ব শেষ জুমার দিনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস নগরীর রূপাতলী হাউজিং মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় এবং উপস্থিত মুসুল্লীদের সাথে কুশল বিনিময় সহ দোয়া কামনা করেন। সন্ধার পরে তিনি নির্বাচনী কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সহ দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম ছাহেব শুক্রবার চরমোনাই জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। সন্ধার পরে নগরীতে ফিরে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে বৈঠক সেরে রাত ১০টায় নগরীর একটি রেস্তোরায় গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে তার মতবিনিময়ের কথা।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ নগরীর আমীর কুটির মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে সবার সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। সন্ধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন তিনি। আবুল খায়েরের স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ নগরীর বিভিন্ন এরাকায় গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে এখনো মহানগর আওয়ামী লীগের তেমন কোন নেতা-কর্মীগন প্রকাশ্যে মাঠে নামেন নি। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দল নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার করে যা কিছু করণীয় সবই করার কথা জানিয়েছেন। তবে সংগঠনের মহানগর সম্পাদক ও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এক ভার্চুয়াল সভায় দলীয় প্রার্থী ও আপন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে সবাইকে কাজ করার আহবান জানালেও দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের পরে আর বরিশালে আসেন নি। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটিতেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম নেই। এমনকি ইতোমধ্যে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় মহানগর ছাত্র লীগের আহবায়কের হাতে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি’ও হয়েছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায়ও দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বাধা বিপত্তির অভিযোগ উঠেছে।
সার্বিক বিবেচনায় বরিশাল মহানগরীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটের অন্যতম প্রতিপক্ষ এখনো মহানগর এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা কর্মী। এমনকি ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকেও ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতদের উৎসাহে ও পছন্দের প্রাথীর্’ বলেও প্রচারনা রয়েছে নগরীতে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা