ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ছোট খারদিয়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আলমগীর মাতুব্বর (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয় এ ঘটনায় ৫৭ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশের ভয়ে আটক এড়াতে এলাকা পুরুব শূন্য হয়। মঙ্গলবার ঐ এলাকায় সরেজমিন গিয়ে এলাকা পুরুব শূন্য অবস্হায় দেখাযায়

জানাযায়, নিহত হওয়ার সংবাদ শুনে রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে গ্রামবাসী পালিয়ে আছেন। তবে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছোট খারদিয়া গ্রাম এখন পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে রবিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিহতের লোকজন এলাকার বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, সরকারি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় সংঘর্ষেে আহত আলমগীর মাতুব্বর (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১৪ মে) সকালে মারা যায় । মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহতের দলের জলিল মাতুব্বর ও আইয়ুব মাতুব্বরের লোকজন প্রতিপক্ষ দলের কাওছার ও বাবলু মাতুব্বরের অর্ধশতাধিক লোকজনের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে গেছে । তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কাওছার, সরোয়ার, মোশারেফ, বাবলু, ছানু, দুলু, আবেদ আলী, গফফার মাতুব্বর সহ সবার বাড়ির মালামাল স্বর্ণালংকার, টাকা পয়সা, মোবাইল, ধান, চাল, পেঁয়াজ সহ থালাবাটি পর্যন্ত নিয়ে গেছে। লুটপাট থেকে রক্ষা পাইনি গরু, ছাগল কিংবা হাসঁ-মুরগীও। বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে কয়েকজন মহিলার গায়ে হাত তুলেছে। লাঞ্চিত নারীরা এখনও কাঁদছে। পাশের গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, লোকজন যে ভাবে লুঠতরাজ করেছে, তা বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম গনমাধ্যমকে কে বলেন, সংঘর্ষে নিহত আলমগীরের স্ত্রী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে ৫৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে । তবে কিছু দুষ্কৃতি লোক লুটপাট করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশকে কঠোর নিদের্শনা দিয়েছি, যারা বাড়িঘর ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করবে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।