মাদারীপুরে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আলম মোড়ল(৬০) ও তার ছেলে হেমায়েত(৪০)কে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতবৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১ টার ও শূক্রবার ভোর রাতে দিকে সদর উপজেলার বাহেরান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, সদর উপজেলা ঘাটমাঝি ইউনিয়নের বাহেরান্দী এলাকার আলম মোড়ল সাথে প্রতিবেশী জাকির মোড়ল গংদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে এলাকার চায়ের দোকান থেকে আলম মোড়ল নিজ বাড়িতে ফিরছেন, এমন সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জাকির, কামরুল, নাসির, মেহেদি, কিবরিয়াসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন মিলে আলম মোড়ল উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত আলম মোড়লকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এবং তার মাথায় ৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাবাকে মারধরের খবর শুনে আলম মোড়লের ছেলে হেমায়েত হোসেন(৪০)কে আজ শুক্রবার ভোর রাতে নিজ বাড়িতে আসে। এ সময় হেমায়েতকে বাড়ির সামনে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়. স্থানীয়রা উদ্ধার তাকেও মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত হেমায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জাকির, কামরুল, নাসিররা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমি জবর দখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে। এতে আমার বাবা বাধা দেয়। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পিত ভাবে রাতের আঁধারে জাকির মোড়ল, কামরুল মোড়ল, নাসির মোড়ল, মেহেদি, কিবরিয়াসহ অজ্ঞাত ৫/৬ মিলে আমার বাবাকে কোপাইছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। আমি খবর শুনে আজ ভোর রাতে বাড়িতে আসি। এসময় ঐ সন্ত্রাসীরা আমাকে বাড়ির সামনে একা পেয়ে আমাকেও কোপাইছে। আমি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন আসলে ওরা পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তি চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসনে চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।