আত্মস্বীকৃত ভোট ডাকাত সেই চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন
০৯ জুন ২০২৩, ০৯:২৩ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০২ এএম
বিগত উপজেলা নির্বাচনে ৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোট ডাকাতির কথা প্রকাশ্য জনসভায় স্বীকার করা সেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে কমিশন গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে কক্সবাজার পৌরসভার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরী এক সভায় বক্তৃতা করেন।
পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তারাবনিয়াছড়া এলাকার ওই নির্বাচনী সমাবেশে ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের ছোট ভাই কায়সারুল হক জুয়েলকে উদ্দেশ্য করে বলেন- ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আটটি কেন্দ্রে কারচুপি ও ভোট ডাকাতি করেছিলেন। তা না করলে আপনি জুয়েল উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারতেন না।’
‘ভোট ডাকাতির কথা স্বীকারকারী’ ইমরুল কায়েস চৌধুরী উখিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদের প্রত্যাশীও। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন।
ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা ভোট ডাকাতিতে জড়িত মর্মে স্বীকার করা বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান,২০১৯ সালের মার্চ মাসে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইভিএম পদ্ধতিতে। ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ‘ডাকাতি’র কথা বলায় নির্বাচন কমিশন বিব্রত বোধ করছেন।
কক্সবাজারে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনকে প্রায়ই মারধর করে থাকেন।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সুলতান আহমদ নামের একজন দরিদ্র লোক চেয়ারম্যানের হাতে বেদম মারধরের শিকার হয়ে আদালতে মামলা করেন। কক্সবাজারের জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক চেয়ারম্যানকে মুচলেকা নিয়ে জামিন দেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি খাসজমির বসতভিটা উচ্ছেদসহ কয়েক শ ফলবান বৃক্ষ কাটার দায়ে আরো এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ক্ষমতাশীন দলের ওই চেয়ারম্যান এর এরকম ভোট ডাকাতির স্বীকারোক্তিতে চাপে পড়েন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। এরই প্রেক্ষিতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারাণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের ওই বক্তব্যকে লাগামহীন বলে উল্ল্যেখ করে সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে তার দায়দায়িত্ব অস্বীকার করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত
উত্তরায় শান্তিপূর্ণ পূজা হবে 'মুগ্ধ চত্বরে'
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরশায়িত সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট নির্জন
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর ইন্তেকাল
বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী আর নেই, ইনকিলাব সম্পাদকের শোক
মতলবে ৯ বাল্কহেড, ১টি লোড ড্রেজারসহ আটক ২৮
জাভেদ পরিবারের ভেল্কি
দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী চক্রান্ত রুখে দিতে হবে -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
মরিচ্যা চেকপোষ্টে ৩০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার করল বিজিবি, আটক -১
জো বাইডেন অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন
জাস্টিন ট্রুডোকে ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ উপহার দিলেন ইউনূস
শেরপুরে আদালতের হাজতখানা থেকে আসামির পলায়ন- ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে যুবক নিখোঁজ লাশ উদ্ধার
বিভাগীয় কমিশনার, এডিসি ও ইউএনও পরিবর্তন হবে
হিন্দুরা আমাদের নাগরিক, আমরা তাদের দেখভাল করছি: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রংপুরসহ উত্তর জনপদ : বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন
জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
সিংগাইরের সড়ক দূর্ঘটনায় ১ নারীর মৃত্যু
ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অপতৎপরতায় লিপ্ত : তারেক রহমান