বৃষ্টি নেই সিলেটে আকাশে, চলছে ভোট গ্রহণ, মন ভাংগায় নির্বাচনী উৎসবে ভাটা!
২১ জুন ২০২৩, ০৯:৩৩ এএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ০৯:৩৩ এএম
সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। বৃষ্টির শংকা থাকলেও এখনো নেই বৃষ্টির কোন আলামত। বরং হালকা রোদ্দুর পরিবেশ অনেকটা ঝরঝরে। সেকারণে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, বিএনপি বিহিন নির্বাচনে বলতে গেলে নিয়ম রক্ষার ভোট গ্রহনের আয়োজন চলছে। নির্বাচনে নেই হাতপাখার প্রার্থী। বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের সকল কার্যক্রম থেকে দুরে থাকার নির্দেশনা ছিল দলটির। বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ গ্রহন সহ কার্যক্রমে নেই। এতে নির্বাচনী উত্তাপ, উচ্ছ্বাসে বিরাট ভাটা পড়ে। মনে হচ্ছে মন ভাংগার এক নির্বাচন হচ্ছে সিসিকে। অথচ বিগত সিসিক নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহনে উত্তাপ উত্তেজনা সহ ছিল নাটকীয়তা ঠাসা। নির্বাচন নিয়ে জাপা প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের রয়েছে অশেষ অভিযোগ। তব্ওু নির্বাচনে রয়েছে তিনি। কখন কি করবেন তা নিয়্ওে রয়েছে প্রশ্ন । এর মধ্যে সিসিকে চলছে ভোট গ্রহন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহানগর বিএনপির এক নেতা বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দল নির্বাচনের সুযোগ দিলে, তাকে ঠেকাতে সাধ্য ছিল না কারো। কারন তিনি ছিলেন জননন্দিত ্ও গ্রহনযোগ্য। কিন্তু তিনি নেই, নির্বাচনের আমেজ্ও নেই। বাঘ নেই তাই নির্বাচনের মাঠে এখন শেয়াল রাজা। তিনি বলেন, বড়ই আফসোস। তাই মনে হচ্ছে যেন মন ভাঙ্গা নির্বাচনের দৃশ্য দেখতে হচ্ছে আমাদের।
৪১ নং ওয়ার্ডের সৈয়দা নূরুন্নেচ্ছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরুর আগে- সকাল সাড়ে ৭ টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটাররা। ইভিএম-এ ভোট দেওয়া নিয়ে এক ধরণের কৌতুহল কাজ করছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করেছেন। অনেকে বলছেন, অক্ষরজ্ঞানহীন ভোটাররা ইভিএম ব্যবহারে অন্যের সাহায্য নিতে হচ্ছে। নতুবা ভোট প্রদান করতে পারছেন না তারা। সেকারনে পছন্দের প্রার্থীর নাম মুখে বলতে হচ্ছে সাহায্যকারীকে নিরূপায় হয়ে, এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রকাশ হওয়ার আশংকা তাড়া করছে অনেকের মনে।
এবারে সিসিক নির্বাচনে মোট ১৯০টি রয়েছে ভোটকেন্দ্র। এর মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে দায়িত্বরত আইন শৃংখলা বাহিনী। এবার বর্ধিত এলাকাসহ এবার মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিসিক নির্বাচন। মোট ভোটার সংখ্যা হলেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন হলেন নারী ভোটার। আজকের সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি- এই তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন ভোট থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যথাক্রমে মো. আব্দুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীকে, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে, মো. শাহজাহান মিয়া বাস প্রতীকে ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হরিণ প্রতীকে এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে নৌকা আর লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠে রয়েছেন৪২ নির্বাহী ও ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ১০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। ১৯০ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণের সরঞ্জামাদি শুরু হয় পাঠানো । সন্ধ্যার মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি সিসিক নির্বাচনের সবকটি ভোটে কন্দ্র ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকেই মহানগর জুড়ে টহল দিচ্ছে বিজিবি। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য বর্তমানে মাঠে রয়েছেন। রয়েছেন র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যও। ভোট কেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে মোট ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে প্রায় ৩ হাজার আনসার সদস্য। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্য রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই, একজন এএসআই ও পাঁচ জন কনস্টেবলসহ মোট ৭ জন পুলিশ সদস্য এবং একজন পিসি, একজন সহকারী পিসি, ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা আনসারসহ মোট ১২ জন আনসার মিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই, একজন এএসআই, চার জন কনস্টেবলসহ মোট ৬ পুলিশ, একজন পিসি, একজন সহকারী পিসি,৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা আনসারসহ মোট ১২ জন আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৬ জন সদস্য রয়েছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অনুপ্রবেশকারীদের টার্গেট নরসিংপুর সীমান্ত!