নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফেসবুক লাইভে ২১ জুন যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা ভূল বুঝাবুঝি থেকেই হয়েছে বলে সোমবার তার অবসান ঘটেছে।

ওই লাইভ বক্তব্যে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ওই ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদার ও তার স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে লেখালেখির পর তা প্রশাসনের নজরে আসে।

সোমবার দুপুরে এনিয়ে সরেজমিনে তদন্তে আসেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়। দীর্ঘ সময় ব্যাপী তদন্ত শেষে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী এবং উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদারের মধ্যে ভূলবুঝাবুঝির কারনে এধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। লিখি মজুমদার আমাদের ডিপার্টমেন্টের একজন সৎ ,যোগ্য এবং দক্ষ ভূমি কর্মকর্তা । তদন্তে লিখি মজুমদারের অফিসে অনুপস্থিতি বা কোন অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদার স্ত্রী লিখিকে চাকুরিস্থলে আনা-নেয়ার সহযোগিতা করতেন। এসুবাদে ওই অফিসে যাতায়াত এবং বসতেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন,আমাদের মধ্যে ভূল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন রায়কেও আমি বিষয়টি স্পষ্ট করেছি।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা লিখি মজুমদার ও তার স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদারও জানান,তদন্তে আমরা সন্তেষ্ট। এতে স্বচ্ছতা আসে। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে পরিচয় না থাকায় ভূলবুঝাবুঝি থেকে এধরনের অবস্থা সৃষ্টি হয়। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয়ের তদন্তে বিষয়টির অবসান ঘটেছে।