কাঁচামরিচের দাম নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা
০১ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
গরুর গোশতের চেয়ে এখন বেশি দামি কাঁচামরিচ। অথচ যে পণ্যটা কিছুদিন আগেও মাত্র ৬০ টাকা কেজি ছিল। আজ এই পণ্য এক হাজার টাকা কেজি। একজন শ্রমিক এক হাজার টাকা ইনকাম করতে লাগে দুইদিন। অথচ একজনের শ্রমিকের দুই দিনের ইনকামের টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে এক কেজি কাঁচামরিচ। এ নিয়ে এখন সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল সমালোচনা।
দেশের অন্যতম কাঁচামরিচ উৎপাদনকারী এলাকা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা। শনিবার (১ জুলাই) শৈলকুপা হাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় এক হাজার টাকা দরে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, জন্মের পর থেকে তারা কোনো দিন কাঁচামরিচের এতো দাম দেখেননি।
শৈলকুপা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইউনুস আলী জানান, তিনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেন। শনিবার তিনি ১০ কেজিও মরিচ কিনতে পারেননি। যা পেয়েছেন, তা এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
আরেক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচামরিচের এতো দাম জীবনে দেখিলি। এক হাজার টাকার এক পয়সা কমেও কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। এক কেজি কাঁচামরিচে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে।’ এ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ জায়গায় এর দাম ছিল এক হাজার। তবে কিছু এলাকায় ছিল ৮০০ টাকা।
এ নিয়ে বেশির ভাগ নেটিজন বলেছেন বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে বাণিজ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন।
মোহসিন খান নামে একজন লিখেছেন, সরকারের উদাসিনতার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ইতিহাসের সকল রেকর্ড অতিক্রম করছে।
আলম হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, সপ্তাহ বা ৭ দিন কেউ কাঁচামরিচ কিনবেন না। দেখুন দাম কমে যাবে।
শফিকুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, বাজারে গেলে কাঁচামরিচ তো কম দেখি না। তাহলে উৎপাদন কমে যাওয়ার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে কেন? উৎপাদন কম হলে বাজারে তো এই পণ্যের অভাব দেখা দিতো। পণ্যের যথেষ্ট চালান থাকার পরেও দাম বেড়ে যাওয়ার যুক্তি কি? বাংলাদেশের ভণ্ড ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কবে ভাঙ্গবে! এবার তোরা মানুষ হো।
আহমেদ রাসেল হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, অযোগ্য বাজার ব্যবস্থা হলে এ রকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী চরমভাবে ব্যর্থ।
আব্দুর রহমান সাইফ নামে একজন লিখেছেন, মাত্র দুইদিন কাঁচামরিচ কেনা সবাই টোটালি বাদ দিয়ে দেন। দেখেন কিভাবে সোজা হয়ে যায়। কিন্তু আমরা তো নবাব, যেই জিনিসের দাম বেশি সেটা খাওয়ার চাহিদাও বেশি।
তানজিলা ইসলাম তানজু নামে একজন লিখেছেন, কাঁচামরিচ কয়েক দিন এর জন্য বয়কট করা উচিত। এক সপ্তাহ কাঁচামরিচ কেনা বন্ধ করে দিলে সব পঁচে যাবে। তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে। কয়েক দিনের জন্য গুড়া মরিচ খাইলে ভালো হয়। ১০০০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ না কিনে বিয়ারের মতো কাঁচা মাংস খাওয়াই বেটার।
আবার অনেকে বলেছেন, যে মন্ত্রী একটি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে না, তাকে কোন কারণে মন্ত্রী রাখা হচ্ছে।
কেউ কেউ বলেছেন, কিছুদিন সবাই খাওয়া বন্ধ করেে দেন দেখবেন এমনিতেই দাম কমে গেছে। কারণ এ পণ্যটা পচনশীল, এটা বেশিদিন থাকবে না। পরে এমনিতেই দাম কমে যাবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়