ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

কুমিল্লায় শিশু গৃহকর্মী হত্যার দায়ে এক দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Daily Inqilab কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার

২৫ জুলাই ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম

শিশু গৃহকর্মী হত্যার দায়ে এক দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রায় তিন বছর আগে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুরে শিশু গৃহকর্মী মরিয়মকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অভিযোগ প্রাণিত হওয়ায় ওই দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ভাদুঘর পূর্বপাড়া এলাকার মো. এনামুল এলাহী শুভ (৩৪) ও তাঁর স্ত্রী নাদরাতুল নাঈম আহমেদ (২২)। নিহত শিশু মরিয়ম বেগম (৭) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার বীর পাইকসা গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। রায় ঘোষণার সময় ওই আসামি দম্পতি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রফিকুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলা সুত্রে জানান, শুভ ও নাদরাতুল তাদের সন্তানদের সঙ্গ দেওয়ার কথা বলে শিশু মরিয়মকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরের ভুলিরপাড় গ্রামের হারিজ ব্যাপারির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে ওই শিশুকে গৃহকাজ করাতে বাধ্য করান ।শুভ ও নাদরাতুল দম্পতি। ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে মরিয়মকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেন ওই দম্পতি। হত্যার পর মরিয়মের লাশ চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে পরদিন প্রাইভেটকারযোগে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানাধীন বীর পাইকসা গ্রামে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁরা। পরে চাদর খুলে মরিয়মের বাবা সিরাজুল ইসলাম মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছিদ্র, চামড়া ছোলা ও কালচে জখম দেখে হোসেনপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। তখন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানা পুলিশ ওই দম্পতিকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহত মরিয়মের বাবা মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ অক্টোবর ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ঘটনাস্থল দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন।

পিপি রফিকুল ইসলাম আরও জানান, মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে ও আসামি মো. এনামুল এলাহী শুভর স্বীকারোক্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা