সিলেটের গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগ : অধিকাংশ রাজধানী ফেরত
২৫ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০৪ এএম
সিলেটে আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। শহরের পর এবার ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামাঞ্চলেও। চলতি মওসুমে জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত (২৫ জুলাই) ডেঙ্গুতে সিলেটে মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত ৩১৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসা-বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ভাস্কর ভট্টাচার্য তথ্য নিশ্চিত করেন এ তথ্য। তিনি জানান, সিলেটের গোয়াইনঘাটে কয়েকদিন আগে ডেঙ্গুরোগী হট স্পট হিসেবে চিহিৃত করা হলেও বর্তমানে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলাকে চিহিৃত করা হয়েছে। গোয়াইনঘাটে গাড়ির টায়ারে পানি জমে থাকার কারনে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যায়। এতে ঐ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি সনাক্ত হয়। বর্তমানে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেশকিছু গার্মেন্স শ্রমিক অসুস্থ হয়ে ঢাকা থেকে চলে আসেন নিজ এলাকায়। অসুস্থ প্রায় সকলই ডেঙ্গুরোগী। তথ্য বিশ্লেষন করা দেখা গেছে এখন সিলেট অঞ্চলের অনেক গ্রামেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের অধিকাংশ রাজধানী ফেরত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সুত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ৩১৩ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ২৩৫ জন ইতোমধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে সিলেটে ১০ জন, সুনামগঞ্জে ৫ জন, হবিগঞ্জে ৪৪ জন ও মৌলভীবাজারে ২ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
চলতি মওসুমের আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটে শনাক্ত হওয়া ৩১৩ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ১৮৩ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ১৯ জন, হবিগঞ্জ জেলার ৯৬ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১৫ জন রয়েছেন।
এদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে বিশেষ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পাশাপাশি চলছে অভিযান। যেখানেই এডিস মশার লার্ভা মিলছে সেখানেই চলছে জরিমানা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ৭, ১০ ও ২৬ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল ও কদমতলী এলাকায় বেশি পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, গত জুন মাসে ১০টি স্থান থেকে ‘নমুনা’ সংগ্রহ করা হলে ২-৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন ১০টি স্থানের নমুনা পরীক্ষা করলে ৫-৬ জায়গায় এডিসের লার্ভা সনাক্ত হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটছে। তাই মানুষকে সচেতন করা না গেলে ডেঙ্গুর ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের’ শঙ্কা রয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন