সাগরের ইলিশে চাঁদপুর সরগরম
২১ আগস্ট ২০২৩, ০৭:২০ পিএম | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৭:২০ পিএম
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় রূপালী ইলিশের দেখা না মিললেও সাগরের ইলিশে অর্ধ শতাধিক আড়ৎ সরগরম হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন পর ক্রেতা-বিক্রেতা ও শ্রমিকদের হাত-ডাকে সরব হয়ে উঠেছে। তবে ইলিশের দাম আগের চাইতে কিছুটা কমেছে।
গত কয়েকদিন যাবত সাগর থেকে ৪/৫টি করে ইলিশের ট্রলার চাঁদপুর মৎস্য আড়তে আসছে। প্রতিটি ট্রলারে ১শ’ থেকে ১শ’৫০ মন ইলিশ আসছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর এ সময়ে আরো বেশী ইলিশ আমদানী ছিল। সে তুলনায় অনেক এ বছর কম ইলিশ আমদানী হচ্ছে। তবে পুরো মৌসুমে আমদানী থাকলে ব্যবসায়ীরা লোকসান কাটিয়ে লাভের মূখ দেখবে।
সোমবার (২১আগস্ট) চাঁদপুরে সবচেয়ে বড় ইলিশের পাইকারী বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। সাগরের ইলিশগুলো অধিকাংশ ট্রলারে করে ঘাটে আসছে । নোয়াখালী জেলার হাতিয়া অঞ্চলের ইলিশগুলো আসে সড়ক পথে ট্রাকে করে।
মাছঘাটের প্রায় ৫০টির অধিক আড়ৎ। প্রত্যেক আড়তের সামনে বড় বড় সাইজের ইলিশের স্তুপ। গত ৩/৪ বছর এত বড় সাইজের ইলিশ আমদানি হয়নি বলে জানান ব্যবসায়ীরা । বিশেষ করে ২ কেজি থেকে ৩ কেজি ওজনের ইলিশ বেশী আসছে। ছোট সাইজের ইলিশ খুবই কম আসছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনার ইলিশের চাহিদাই সবচাইতে বেশি ক্রেতার কাছে। কিন্তু যে পরিমান আমদানি হয়, তা চাহিদার তুলনা খুবই কম। জেলেরা যে পরিমান ইলিশ পাচ্ছে, তা’ খুব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ৭শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের ‘লোকাল’ ইলিশ প্রতি কেজি ২হাজার’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগরের ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ইলিশ প্রতি কেজি ১৪শ’ টাকা, এক কেজি এবং এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭শ’ টাকা ধরে।
মাছঘাটে অনলাইনে এবং খুচরা ইলিশ বিক্রি করেন মো. মাছুদ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবচাইতে বেশী পদ্মা-মেঘনার রূপালী ইলিশের অর্ডার আসে। কিন্তু গত ৪ বছর ‘লোকাল’ ইলিশের আমদানি খুবই কম। চাহিদা থাকলেও ক্রেতাদেরকে সে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ মাছ দিতে পারছি না। আগে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখন তারা পদ্মা-মেঘনার ইলিশ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের প্রধান ইলিশ গবেষক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব এলাকায় ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে ইলিশের প্রাপ্যতা হ্রাসের বেশ কিছু কারণ আছে। অন্যতম কারণ হচ্ছে-নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস, সামগ্রীকভাবে দেশের বৃষ্টির পরিমাণ কম, নদীতে যে আবাসস্থল রয়েছে তাতে পরিবেশগত বিপর্যয় অনেকাংশ দায়ী। এ ছাড়া নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর জেগে উঠাও একটি বড় কারন। এ সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে আবারো পুরানো দিনের মত জেলেরা অবশ্যই তাদের কাংখিত ইলিশ পাবে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার বলেন, এ বছর প্রাকৃতিক কারনে ইলিশ আমদানী কম। কেননা এ বছর তেমন বৃস্টি হয়নি। এতদিন আমরা ইলিশ শূন্য অবস্থায় ছিলাম। বিগত বছর প্রতিদিন ইলিশ মৌসুমে ৭শ’ থেকে ৮শ’ মন ইলিশ আমদানী হতো। সেই তুলনায় এ বছর আমদানী কম । এখন গড়ে ৪শ’ মনের মত ইলিশ দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসছে। এ ভাবে আমদানী হলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও পোষাতে পারবে। আমদানী বাড়লে ইলিশের দাম আরো কমে যাবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন
কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে নজর রাখছে রাশিয়া