বোনকে প্রতিবেশীরা মেরেছে ভাই সংবাদ পেয়ে বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয় ভাই। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয় ২ জন আহতদের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

প্রকাশ, গতকাল শুক্রবার রাত্রি আনুমানিক ৯•৩০ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী শামীমা কে অজ্ঞাত কারণে প্রতিবেশী ফরমান আলীর পুত্র সেলিম হোসেন মারপিট করে। মারপিটের সংবাদটি শামীমা আক্তার বাবা ভাইকে জানালে সংবাদ পেয়ে পার্শ্ববর্তী খানপুর চড়াই ভিটা গ্রামের ওয়াজেদ আলী পুত্র ওয়াসিম (৩৫) সহ ৩/৪ জন সেলিমের বাড়িতে আসে। ওয়াসিম তার বোন শামীমা আক্তার কে কি কারনে মারা হয়েছে কারণ জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে তার বাড়ির ৫ ভাই সহ ৭/৮ মিলে জন শামীমা, তার স্বামী লুৎফর, ভাই ওয়াসিম কে তাদের বাড়িতে আটক রেখে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ফরমান আলী মুন্সি নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে ওয়াসিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বাড়িতে ফেলে রাখে । গ্রামবাসীরা অশঙ্কা জনক অবস্থা ওয়াসিম ও আত্মীয়দের উদ্ধার করে বিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করার পল কর্তব্যরত ডাক্তার ওয়াসিমকে মৃত ঘোষণা করে।

ওয়াসিমের মামা আইসারলা দৈনিক ইনকিলাব জানান, মারপিটের বিচার চাইতে গিয়ে ঘাতক সেলিম ও তার ভাইয়েরা আমার ভাগনা ওয়াসিম ধারালো ছোড়া বুকে ঢুকিয়ে দেয় মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে সহ তাদের ৩/৪ জন কে তারা গুরুতর জখম করে বাড়িতে আটকে রাখে। ওয়াসিম কে হত্যা করে বাড়িতে রাখা হয়েছে সংবাদটি পার্শ্ববর্তী খানপুর চড়াই ভিটা গ্রামে পৌঁছিলে এলাকার শতশত নারী পুরুষ রাতেই হত্যার বিচার চেয়ে খোশালপুর গ্রামে জনৈক সেলিম পিতা ফরমান আলী বাড়িতে হামলা চালায়।জনতার হামলায় হত্যার নেতৃত্ব দেওয়া মূল আসামি ফরমান আলী মুন্সীর ৫ ছেলে সেলিম, খোকন, ফজলার রহমান,মশিউর রহমান, ফরহাদ হোসেন, সেলিমের মেয়ে তাজদিন ৬ জনকে পুলিশে সোপর্দ করে! বিরামপুর থানা পুলিশ ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করে আজ ভোরে দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। ওয়াসিম হত্যায় আটক ৬ আসামি পুলিশের হেফাজতে দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার দৈনিক ইনকিলাব কে আরো জানান, হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ বিরামপুর সার্কেল সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান । হত্যায় অভিযুক্ত ৬ আসামিদের আটক করা হয়েছে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিদের আটকের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান। তিনি আরো জানান,গতকাল রাতেই নিহত ওয়াসিমের পিতা ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় ৯ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জন আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ১৯ তারিখ ৩০/৯/ ২৩