ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির রোডমার্চে ৫০ কিলোমিটার যানযটে আটকা পড়ছে কয়েক হাজাট যামনাহন। তারপরও মানুষের ভিতরে কোন বিরক্তি নেই। সাধারণ মানুষ ফরিদপুর রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে শুরু করে মাদারীপুর মোস্তাপুর মোড় পর্যন্ত রোডমার্চে অংশ নিয়ে শত শত গাড়ি বহরকে স্বাগত জানিয়ছেন। সাথে ছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। উপস্থিত এবং রাস্তার পাসে ঠায় দাড়িয়ে থাকা বিএনপির ভক্ত সমর্থকরা সকলকে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান। ফরিদপুর রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে ফরিদপুর নগরকান্দ্রা উপজেলার তালমার মোর পর্যন্ত বিএনপির নেতা/ কর্মী সমর্থকদের উপস্থিত ছিল জনস্রোতের মত। পাশাপাশি জেলার বিএনপির নেতা কর্মীরা গাড়ি বহরে যোগ দেয়ায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তায় কোথাও তিল ধরার জায়গায় ছিল না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও যথেষ্ট আন্তরিক ও নিরপেক্ষ। । ঢাকা থেকে আগত বিএনপির ৬/৭ জন শীর্ষ নেতাদের এক নজর দেখতে এবং তাদের মুখের বক্তব্য শুনতে বাসা বাড়ির ছাদে টিনের চালে গাছের মগঢালো উঠে মানুষ বৃষ্টির মধ্যেও অপেক্ষমান ছিল। একদিকে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং প্রচন্ড রোধ ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেও হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসে। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ মোড় থেকে শুরু হওয়া রোড মার্চের প্রথম নেতৃত্বে দেন, আলী নেওয়াজ মোহাম্মদ খৈয়াম। সাথে যোগ হন বিভাগীয় রোড মার্চের প্রধান অথিতি বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য জনাব, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেত্রী সেলিমা রহমান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নায়াব ইউসুফ। এই রিপোর্টে লেখা পর্যন্ত বিকাল তিনটায় নগরকান্দা তালমার মোড়ে ২য় পথসভা চলছিল। এই সভায়ও সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সাবেক চীপ হুইপ জনাব,জয়নাল আবেদিন ফারুক। তখন ও ছিল ফরিদপুর থেকে মাদারীপুর পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার যানযট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফরিদপুর,নগরকান্দা, ভাঙ্গা,টেকেরঘাট, গোপালগঞ্জ সড়ক,পদ্মাসেতু সড়ক,মাদারীপুর,শরীয়তপুর ও বরিশাশ,যশোর খুলনা,বাগেরহাট, যশোর সহ ২১ রুটের ২১ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।