আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, "ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার পায়ের তলায় মাটি নেই। আমার মা ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে আপনার সরকার। তাই তোমাকে বলে দিতে চাই- ফরিদপুরের রোডমার্চে প্রমাণ দিয়েছে ১৪-১৮ সালের মতো মরা মানুষের ভোট আর তোমরা করতে পারবা না। সাব জবাব আমাদের।"

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবিতে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চের সভাপতির বক্তব্যে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালমার মোড় মহাসড়ের পাশে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, "সরকার প্রধান আপনি বুকে হাত দিয়ে বলেন, আপনাকে রাজনীতিতে কে এনেছে? শহিদ জিয়া। মাননীয় নেত্রী বুকে হাত দিয়ে বলেন কয়জন সেক্টর কমান্ডর ও কয়জন বীর শ্রেষ্ঠ আপনার হাতে আছে। বুকে হাত দিয়ে বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার দলের কোন বড় নেতা যুদ্ধ করেছিল, কেউ না। তাই আমার নেতার সমালোনা বন্ধ করুন। আমার নেত্রীকে ছেড়ে দেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মরা ভোটের বিরুদ্ধে আমার নেতা তারেক রহমান লড়াইয়ে নেমেছে। এই লড়াইয়ে আমরা জয় লাভ করবোই করবো- ইনশাল্লাহ।"

পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, ভিসানীতিতে আমাদের কোনো ভয় লাগছে না। ভয় লাগতেছে ভোট চোরদের। আর আমাদের লাগছে আনন্দ। ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষও আজ আনন্দিত। কারণ ভিসানীতি প্রয়োগ হবে ভোট চোরদের বিরুদ্ধে। ভিসানীতি আসার পরে ভোট চোরদের অন্তর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে যত কথাই বলুক, ভেতরে জ্বলেছে।

রোডমার্চের পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোডমার্চের সমন্বয়কারী শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসুকুর রহমান, সম্পাদক খন্দকার সেলিমুজ্জামান সেলিম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আরা হক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান শরীফ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল প্রমূখ।