সেন্টমার্টিন থেকে সরানো হল ৭হাজার ২০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য
১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম
পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে সাত হাজার দুইশত কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সরিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'কেওক্রাডং বাংলাদেশ’।
গত বছরের মতো এবারও ৯ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত টানা তিন দিন সেন্টমার্টিন দ্বীপের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টিক বোতল, খাদ্য দ্রব্যের প্যাকেট, নানান ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে নেতৃত্ব দেয় ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এছাড়া কেওক্রাডং বাংলাদেশ ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওশান কনজারভেন্সি ও কোকাকোলার সহযোগিতায় বড় ধরণের আরো একটি পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সেন্টমার্টিনে স্থানীয় সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার পযর্টক প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে এসে ফেলে যান নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য। সঙ্গে যোগ হয় স্থানীয়দের ব্যবহারিত বিভিন্ন পলিথিন বর্জ্য। অপচনশীল এসব প্লাস্টিক বর্জ্যের ভারে হুমকিতে পড়েছে ছোট্ট এই দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি। ভ্রমণ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে প্রতিবছর সেন্টমার্টিনের সমুদ্র সৈকত আর লোকালয়ের যত্রতত্র পড়ে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য সরানোর মতো মহৎ কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশের সদস্যরা।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ১৫০টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি করে ২টি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। পরে প্লাস্টিক এই বর্জ্যগুলো ট্রাকযোগে টেকনাফ পৌরসভার বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী, ওশান কনজারভেন্সির বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, সামুদ্রিক আর্বজনা বা মেরিন ডেবরিজ বর্তমান দুনিয়াতে বহুল আলোচিত। এর মূল কারণ হিসেবে মেরিন ডেবরি থেকে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক/মাইক্রোফাইবার বা যে কোনো ধরনের প্লাস্টিকের কণা সামুদ্রিক পরিবেশ তথা যেকোনো পরিবেশের সঙ্গে যে হারে মিশে যাচ্ছে তাতে আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে প্লাস্টিকের উপস্থিতি, মানবদেহে, রক্তে, মলে এমনকি মাতৃদুধেও প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে। এর ভয়াবহতার পরিমাপ আমাদের এখনও যথাযথ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনো জলাধার হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আর সেন্টমার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে।
সেন্টমার্টিনের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, সেন্টমাটিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব হবে। আগামীতে সেন্টমার্টিনে এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করলে দ্বীপের পরিবেশের জন্য তা খুবই উপকার বয়ে আনবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব
বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
কোকাকোলার বোতল সরিয়ে দিলেন রাজা
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
চুরির ঘটনা ঘটলে মামলা করে ডিবিতে নিয়ে আসেন : ডিবি
উপজেলা নির্বাচন : সেতুমন্ত্রীর ভাই-ভাগ্নেসহ চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০জনের মনোনয়ন দাখিল
দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের
সিনার্জির যাত্রা শুরু
রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির সোয়া ২ঘন্টা পর চলাচল স্বাভাবিক
হিজাব পরে তোলা যাবে ছবি, আইন শিথিল রাশিয়ায়
পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ শ্রমিকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
লৌহজং উপজেলায় পরিষদ নির্বাচন: কে কোন প্রতীক পেলেন
কালিগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির কংকাল উদ্ধারের ঘটনায় আটক এক
রাণীশংকৈলে ভুট্টা ক্ষেত থেকে প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার
ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রত্যয়ী পিএসজি
৩ বছর পর সেরি-এ লিগে ফিরল পার্মা