কক্সবাজারে গালগুণে ফেঁসে গেলেন এক ইউপি চেয়ারম্যান
১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৬ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৬ এএম
কক্সবাজারে গালগুণে সাইবার মামলায় ফেঁসে গেলেন এক চেয়ারম্যান। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার শহরের ৮টি কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন দাবি করে বক্তব্য দিয়ে ফেঁসে গেলেন উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
এর সূত্রধরে তার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন ওই উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন তিনি।
গত ৬ জুন কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের একটি সভায় এ বক্তব্য দেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ইমরুল কায়েস। এরপর এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বক্তব্যটি প্রচারিত হলে তোলপাড় শুরু হয়।
ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
মামলায় জুয়েল দাবি করেন, চলতি বছরের ৬ জুন সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ছড়ায় পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেছেন- 'বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কায়সারুল হক জুয়েলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে গিয়ে ৮টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছিলেন তিনি'। এ সময় জুয়েলকে অকৃতজ্ঞ বলেও সম্বোধন করেন।
অভিযোগে জুয়েল আরও উল্লেখ করেন, ইমরুলের বক্তব্যটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে আমার যেমন সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে তেমনি সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখনো সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী ইমরুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি মামলাটি করেছেন বলে জানান।
জুয়েল বলেন, ইমরুল কায়েসের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর। বর্তমান সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন তিনি। তার এ বক্তব্যে আমার রাজনৈতিক, সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই আমি মামলাটি দায়ের করেছি।
যদিও গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইমরুল নিজেই ভোট কেন্দ্র দখল করে নৌকাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলম। এছাড়াও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার হাতে নির্যাতিত হওয়ার অভিয়োগ উঠেছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শ্রমিক এবং দিনমজুরসহ অনেকই।
উল্লেখ্য, কায়সারুল হক জুয়েল বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা একেএম মোজ্জামেল হকের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল