নিয়ম করে ঘুষ খান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড সচিব মোতাহার হোসেন
১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম
মাত্র ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা বেতনের যে দৈনিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী, তাকেও দিতে হয় ঘুষ।টাকার ভাগ দিলে অনুপস্থিত থাকলেও হাজির, আর না দিলে ডিউটি করেও থাকেন অনুপস্থিত লেখা হয়।তারচেয়েও ভয়াবহ অভিযোগ হলো, নারী-পুরুষ সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে করা হয় যৌন নির্যাতন।এমন অভিযোগ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড সচিব মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে।
গোপনে ধারন করা ভিডিও ক্যামেরায় দেখা যায়, এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের সচিব মোতাহের হোসেন।অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, কাজ না করলেও তাকে অর্ধেক ভাগ দিলেই ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে উপস্থিত দেখানোর চুক্তির কথা।তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগও ওঠে আসে। তার হাত থেকে রেহাই পায় না নারী-পুরুষ কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরইু।যার মধ্যে এমনই একটি চরম আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওয়ার্ডের ৭৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর প্রত্যেকেই তাকে দিতে হয় ঘুষ।তাকে সকালে ফিঙ্গার দেয়ার সময় ১০ টাকা, দেরিতে আসলে ২০ টাকা, অনুপস্থিতির জন্য টাকা আর মাস শেষে মোতাহারকে দিতে হয় ৫০০ থেকে কয়েক হাজার টাকা।না দিলে ডিউটি করলেও অনুপস্থিত দেখানো হয়।ভুক্তভোগীরা জানায়, তার কথা না শুনলে চাকরি হারানো বা কাজ করেও বেতন না পাওয়ার হুমকি দেয়া হয়।কাউকে কাউকে দিয়ে হাত পা টিপায়।
মাস শেষে তাকে কেন টাকা দিতে হবে এ সম্পর্কে অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, এটা নাকি অফিসের রুলস।অফিসে যোগাযোগ করলে জানি কোনো টাকাই দিতে হয় না।আরেকজন জানান, ফিঙ্গারপ্রিন্ট করার সময়ে ১০ টাকা করে না দিলে মাস শেষে বলবে যে, তোমরা আসো নাই। দেরি হলে ২০ টাকা করে দিতে হয়।কয়েকদিন পর পর ফরমান দেন, নাস্তা এনে দিতে। ভাত এনে দিতে।সিঙ্গারা সমুচা এনে দিতে হয়।প্রত্যেকের ব্যক্তিগত কোটা অনুযায়ী মাসে মাসে ৫০০/৭০০ করে তো দিতেই হয়।বদইল্লারা (একজনের চাকরি আরেকজন করলে) ১০০০ টাকা দিতে হয়।মাসে তার ২ লাখ টাকার মত আয় হয়।
এসব বিষয় জানতে চাইলে মোতাহার হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।ষড়যন্ত্র করতে চাইলে কতকিছুই করা যায়।নানা ছলচাতুরি করে শুধু বেতনের জন্য। বেতন তো আমি দিতে পারব না।দীর্ঘদিন ধরে এসব অপরাধ করার পরেও কোনো সুরাহা নেই।তবে এবার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে কতৃপক্ষ।চসিকের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, এমন অভিযোগ অমূলক নয়। আমি মেয়র মহোদয় ও সচিব মহোদয়কে অবহিত করেছি, যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সূত্র : চ্যানেল ২৪
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল