ফরিদপুরে স্কুল থেকে ১০ শ্রেণির জনৈক ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টাকালে স্কুল ছাত্র /ছাত্রী সহ স্হানীয়রা দলবদ্ধ হয়ে অপহরণকারীদের ঘেরাও করে ৩ জন আটকরেছে। এবং অপহরণকারীদের মাইক্রবাসে আগুন,ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। ঘটনাটি ঘটে
ফরিদপুর শরহতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের মাঠে। জানাযায়, ঔ স্কুলের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করতে গেলে সহপাঠীদের বাধাঁর কবলে পরে অপহরকারীরা। এর পর তাদের রোধ করে সককে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা।
এসময় উত্তেজিত জনতা ও স্কুলের শতাধিক ছাত্র /ছাত্রী মিলে অপহরকারীদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সোমবার (১৬ আগষ্ট) ফরিদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে এ ঘটনা ঘটে বলে পৌরসভার রক্ষিত মহিলা কমিশনার জয়গুন নেগম ইনকিলাব কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এই বিষয় ঔ
বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমুল্য কুমার ইনকিলাব কে জানান, সোমবার সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাহসিকতার সাথে ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের মধ্যে গাড়িটির গতিরোধ করে ধরে ফেলে। দুজন কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে দিশেহারা ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা সকলে মিলে মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার সাথে জরিত
আটকৃতরা হলো, ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন(৪০) ও শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর(৫২)।
অপরদিকে, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল ইনকিলাব কে বলেন, একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে। সহপাঠীদের বাধার মুখে অপহরনে তারা ব্যর্থ হয়। সেসময় দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় ও শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা তদন্ত চলছে এর সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য হটাৎ করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চুরি ছিনতাই সহ নানান ধরনের অপরাধ প্রবনতা একটু বারছে বলে শহরবাসী মনে করেন।