স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদের নির্যাতন সইতে না পেরে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় মারজাহান আক্তার রিক্তা (২১) আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১অক্টোবর) ভোরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম লতিফপুর গ্রাম থেকে স্বামী ফয়সাল মাহমুদকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই তরুনীর বাবা আবু নাছের বাদী হয়ে ওই তরুনীর স্বামী ফয়সাল মাহমুদ, শ্বাশুড়ী তাসলিমা বেগম ও ননদ পিংকি’কে আসামী করে একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।

মৃত্যুর আগে করা দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও’সহ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে পুলিশ। এতে তিনি মৃত্যুর জন্য স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদকে দায়ী করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ওয়াজ উদ্দিন ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারজাহান আক্তার রিক্তা ওই বাড়ির আবু নাছেরের মেয়ে। তার ৭ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহত তরুনীর বাবা আবু নাছের জানান, আমি বিদেশে থাকাকালীন সময়ে টিকটকে পরিচয় হয়ে প্রেম করে ৩ বছর আগে মারজাহান আক্তার রিক্তার সাথে ফয়সাল মাহমুদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদ প্রায় সময় তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। স্বামী, শাশুড়ী ও ননদসহ তার শ্বশুরের পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে মোবাইলে ভিডিও করে তাদেরকে দায়ী করে শুক্রবার দুপুরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমার নাতি কান্না করলে আমি ঘরের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে প্রথমে রিক্তা বলে ডাকাডাকি করার পর কোন সাঁড়া শব্দ না পেয়ে পরে দরজা খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে যারা বাধ্য করেছে আমি তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ওই তরুনীর স্বামী ফয়সাল মাহমুদকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এজাহারের অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।