নাটোরে ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। দেশব্যাপি বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা এই হরতালে সীমিতভাবে দূরপাল্লার বাস চলেছে। সব রুটে গণপরিবহন না চললেও সিএনজি, অটোরিক্সা করে চাকুরীজীবীদের চলাচল করতে দেখা যায়। হরতাল ঘিরে নাশকতা করলে তার মোকাবেলায় পুলিশকেও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে শহরের মাদরাসা মোড় থেকে বগুড়া রুটে একটি বাস ছেড়ে যায়। তবে সেই বাসে যাত্রীর চাপ কম ছিল। শহরের হরিশপুর বাইপাস টার্মিনাল ও ভবানিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সারিবদ্ধভাবে বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এসব স্থানে পুলিশের বাড়তি সর্তকতা দেখা যায়।
অপরদিকে হরতালে বিএনপি-জামায়াতের সকল নাশকতা প্রতিহত করতে মাঠে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান দেখা গেছে। শহরের দোকানপাট খোলা থাকলেও বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। তবে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে স্টেশন বাজার এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম আলতাবকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, 'রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশন বাজার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সাইফুল ইসলাম আফতাব বের হচ্ছিলেন। এ সময় ৪ থেকে ৫ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে চিৎকার করলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমরা সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করছি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড সিরাজুল ইসলাম বলেন জনগনের জানমালের ক্ষতি কওে এমন কর্মসূচী নিলে জেলা আওয়ামী লীগ তা কঠোর হস্তে দমন করবে।