শেরপুরে সোয়া চারশ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে ছয়টি মামলা
হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় জেলার পাঁচ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে
৫১ জন নেতাকর্মীকে। পুলিশের দাবী অভিযানের সময় ককটেল, পেট্রোল বোমা
উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল ২৮ অক্টোবর রাতে হরতালের সমর্থনে শেরপুর সদর উপজেলার
কুসুমহাটি রোজবার্গের সামনে জনমনে ত্রাস সৃস্টির জন্য ককটেল, বিস্ফোরক
দ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলো বিএনপির
নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ৬টি ককটেল উদ্ধার এবং ১০ জনকে
আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির
আহমেদ বাদল জানান, এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় ৫৭ জনের নামে ও আরো
অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করা হয়েছে। আজ ২৯ অক্টোবর বিকেলে
আটককৃতদের আদালতে পাঠালে, আদালত তাদরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, শ্রীবরদী
চৌরাস্তা ও সবজী বাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও
দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিলো। এসময় পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় স্থান থেকে ২৭ জনকে আটক করে। বাকীরা পালিয়ে যায়। এ
ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী
করে বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আজ ২৯
অক্টোবর বিকেলে আদালতে পাঠালে, আদালত তাদরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জানান,
ঝিনাইগাতীর খৈলকুড়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও
দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। বাকীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত
আসামী করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আজ বিকেলে
আদালতে পাঠালে, আদালত তাদরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, জনমনে ক্ষতি
ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয় বোমা ও দেশীয়
অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিলো। এসময় পুলিশ
ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে। আরো অনেকেই পালিয়ে যায়। এ
ঘটনায় নকলা থানায় ৬৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠালে, আদালত তাদরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক জানান, জনগনের
জানমালের ক্ষতি ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা বিস্ফোরক জাতীয়
বোমা এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিলো।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। আরো অনেকেই পালিয়ে
যায়। এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫ জনকে
অজ্ঞাত আসামী করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের
আদালতে পাঠালে, আদালত তাদরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানান, বিএনপির নিরীহ
নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে এসে পুলিশ গায়েবি মামলা করে এদের
আসামী করে হয়রানী করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।