ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

চাঁদপুর জেলা কারাগারে দুই গুণ বন্দি

Daily Inqilab চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার

০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ এএম

চাঁদপুর জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও প্রায় দুই গুণ হাজতি ও কয়েদি বন্দি রয়েছেন। এতে বন্দিদের কারাগারে থাকতে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ। একই ধরনের অভিযোগ হাজতি ও কয়েদির স্বজনদের।
চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন জানান, চাঁদপুর জেলা কারাগার ৪৫৪ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী বন্দি (হাজতি ও কয়েদি) মিলে মোট ৪৭৫জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও এখানে এখন পর্যন্ত মোট আসামি ও কয়েদি মিলে বন্দি আছেন ৯৭৬ জন। এর মধ্যে নারী বন্দি ৪৪ জন। ৯৭৬ জনের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১৯৯ জন পুরুষ। ২০জন নারী । বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১৬৮ জনের ৪জন নারী কয়েদি। মোট ৯৭৬ জন আসামি ও কয়েদির মধ্যে ৬০৯ জন নারী -পুরুষ হাজতি আছেন। যারা বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। যা হিসেব করলে দেখা যায় ধারণ ক্ষমতার (ধারণ ক্ষমতা ৪৭৫ জন) চেয়ে বন্দির (বন্দি আছেন ৯৭৬ জন) সংখ্যা প্রায় দুই গুণ।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, জেলা কারাগারে বন্দিদের জন্য মোট পাঁচটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ৪ তলা ভবন, দুইটি দোতলা ভবন, একটি একতলা ভবন। এতে ২৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নারী ওয়ার্ড। এসব ভবনগুলোতে বন্দিরা থাকছেন।
জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন বলেন, তারা সবাই ওয়ারেন্টের প্রেক্ষিতে বা কোনো না কোনো মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে এসেছেন। সাধারণভাবে এক হাজার বন্দি এ কারাগারে থাকতে পারে। আসামী খুব বেশি হয়ে গেলে আমরা ওয়ার্ডের বারান্দাগুলো খুলে দেই। সেখানে তারা থাকতে পারে। আমাদের বন্দিদের সাথে স্বজনদের সাক্ষাতকারের রুমটি কিছুটা আকারে ছোট। তাই বন্দির সংখ্যা বেশি হলে তাদের স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে আসলে কিছুটা চাপ পড়ে। আমরা চাইলেও এই রুমটি বড় করতে পারব না। বর্তমানে জনবলের ঘাটতি আছে। তারপরও চেষ্টা করি তাদের সেবা দেয়ার। আমাদের কাজ হলো, যারা এখানে আসবেন তাদের দেখাশোনা করা। ভালো রাখা ও ভালোর পথে আনার চেষ্টা করা।
জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, জেলা কারাগারে সমসময় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি থাকে। এখানে বন্দিদের থাকার জন্য যে রুমগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অনেক বড়। এজন্য তাদের থাকতে খুব একটা সমস্যা হয় না। এখন পর্যন্ত আমরা অতিরিক্ত বন্দি নিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হই নাই। তাদের খাবার আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়। অর্থ্যাৎ বন্দি যতজন থাকবেন ততজনের ওপরে নিয়মানুযায়ী যে যতটুকু খাবার পান তার ওপরে গুণ করে খাবার দেওয়া হয়। যে কয়জন বন্দি থাকবেন তারা একেকজন সরকারি নিয়মানুযায়ী যে খাবার পাওয়ার কথা সেই অনুযায়ীই যতজনই থাক ততজনেরই খাবার রান্না হয় এবং প্রত্যেকে সঠিক ও সমান খাবার পান। ফলে বন্দি বাড়লেও খাবারে কোনো সমস্যা নেই। তাদের ম্যানেজ অবকাঠামোর কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন বিশেষ করে ওয়াস রুমে সমস্যা হয়। এ কারাগারে অতিরিক্ত বন্দি হলে আমাদের ষ্টাফদের কিছুটা চাপ নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, যে সকল বন্দি পড়ালেখা জানে না। তাদের নিরক্ষরতা দূর করার জন্য অক্ষর জ্ঞান দেয়া হয়। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অনেক জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান শেষে ইতি মধ্যের তাদের অনেকেই জামিনে চলে গেছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল

নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল

নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায় চীন: শি জিনপিং

নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায় চীন: শি জিনপিং

পতিত স্বৈরাচারের দোষর মিডিয়া আর স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে

পতিত স্বৈরাচারের দোষর মিডিয়া আর স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টও মুলতানে

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টও মুলতানে

৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইআইই-তে অংশ নেবে

৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইআইই-তে অংশ নেবে

সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা

সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে

৩ হাজার কয়েদির সাজা মওকুফ অথবা হ্রাস করতে যাচ্ছে ইরান

৩ হাজার কয়েদির সাজা মওকুফ অথবা হ্রাস করতে যাচ্ছে ইরান

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর শ্রীলংকায় প্রথম নির্বাচন আজ

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর শ্রীলংকায় প্রথম নির্বাচন আজ

জুনে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে

জুনে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন ১৭ শতাংশ কমেছে

রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

গারো পাহাড়ের বালু খেকোদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের সতর্কবার্তা

গারো পাহাড়ের বালু খেকোদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের সতর্কবার্তা

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ