চাঁদপুর জেলা কারাগারে দুই গুণ বন্দি
০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ এএম
চাঁদপুর জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও প্রায় দুই গুণ হাজতি ও কয়েদি বন্দি রয়েছেন। এতে বন্দিদের কারাগারে থাকতে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ। একই ধরনের অভিযোগ হাজতি ও কয়েদির স্বজনদের।
চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন জানান, চাঁদপুর জেলা কারাগার ৪৫৪ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী বন্দি (হাজতি ও কয়েদি) মিলে মোট ৪৭৫জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও এখানে এখন পর্যন্ত মোট আসামি ও কয়েদি মিলে বন্দি আছেন ৯৭৬ জন। এর মধ্যে নারী বন্দি ৪৪ জন। ৯৭৬ জনের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১৯৯ জন পুরুষ। ২০জন নারী । বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১৬৮ জনের ৪জন নারী কয়েদি। মোট ৯৭৬ জন আসামি ও কয়েদির মধ্যে ৬০৯ জন নারী -পুরুষ হাজতি আছেন। যারা বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। যা হিসেব করলে দেখা যায় ধারণ ক্ষমতার (ধারণ ক্ষমতা ৪৭৫ জন) চেয়ে বন্দির (বন্দি আছেন ৯৭৬ জন) সংখ্যা প্রায় দুই গুণ।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, জেলা কারাগারে বন্দিদের জন্য মোট পাঁচটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ৪ তলা ভবন, দুইটি দোতলা ভবন, একটি একতলা ভবন। এতে ২৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নারী ওয়ার্ড। এসব ভবনগুলোতে বন্দিরা থাকছেন।
জেলার মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন বলেন, তারা সবাই ওয়ারেন্টের প্রেক্ষিতে বা কোনো না কোনো মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে এসেছেন। সাধারণভাবে এক হাজার বন্দি এ কারাগারে থাকতে পারে। আসামী খুব বেশি হয়ে গেলে আমরা ওয়ার্ডের বারান্দাগুলো খুলে দেই। সেখানে তারা থাকতে পারে। আমাদের বন্দিদের সাথে স্বজনদের সাক্ষাতকারের রুমটি কিছুটা আকারে ছোট। তাই বন্দির সংখ্যা বেশি হলে তাদের স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে আসলে কিছুটা চাপ পড়ে। আমরা চাইলেও এই রুমটি বড় করতে পারব না। বর্তমানে জনবলের ঘাটতি আছে। তারপরও চেষ্টা করি তাদের সেবা দেয়ার। আমাদের কাজ হলো, যারা এখানে আসবেন তাদের দেখাশোনা করা। ভালো রাখা ও ভালোর পথে আনার চেষ্টা করা।
জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, জেলা কারাগারে সমসময় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি থাকে। এখানে বন্দিদের থাকার জন্য যে রুমগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অনেক বড়। এজন্য তাদের থাকতে খুব একটা সমস্যা হয় না। এখন পর্যন্ত আমরা অতিরিক্ত বন্দি নিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হই নাই। তাদের খাবার আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়। অর্থ্যাৎ বন্দি যতজন থাকবেন ততজনের ওপরে নিয়মানুযায়ী যে যতটুকু খাবার পান তার ওপরে গুণ করে খাবার দেওয়া হয়। যে কয়জন বন্দি থাকবেন তারা একেকজন সরকারি নিয়মানুযায়ী যে খাবার পাওয়ার কথা সেই অনুযায়ীই যতজনই থাক ততজনেরই খাবার রান্না হয় এবং প্রত্যেকে সঠিক ও সমান খাবার পান। ফলে বন্দি বাড়লেও খাবারে কোনো সমস্যা নেই। তাদের ম্যানেজ অবকাঠামোর কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন বিশেষ করে ওয়াস রুমে সমস্যা হয়। এ কারাগারে অতিরিক্ত বন্দি হলে আমাদের ষ্টাফদের কিছুটা চাপ নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, যে সকল বন্দি পড়ালেখা জানে না। তাদের নিরক্ষরতা দূর করার জন্য অক্ষর জ্ঞান দেয়া হয়। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অনেক জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান শেষে ইতি মধ্যের তাদের অনেকেই জামিনে চলে গেছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই
ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার
ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে
কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার
বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে
আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি
গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স
৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের নাম মেক্সিকান আমেরিকা রাখার পরামর্শ