কক্সবাজারে লবণ চাষিদের মাঝে অসন্তোষ
০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ এএম
- ঘাটতির কোন শঙ্কা নেই
- তবু এক লাখ মেট্রিকটন লবণ আমদানীর সিদ্ধান্ত
আমদানি নিষিদ্ধ থাকার পরও শিল্প মন্ত্রনালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বানিজ্য মন্ত্রণালয়। কক্সবাজারে বন্যায় লবণ উৎপাদন কম হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ দেখা দিয়েছে কক্সবাজারের লবন চাষিদের মাঝে।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বানিজ্য সচিব বলেন, এ বছর কক্সবাজারে বন্যা হওয়ার ফলে লবণ উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা থেকে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দেশে লবণের চাহিদা মোট ২০ লাখ মেট্রিক টন। ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এবার ১ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।
এদিকে ১ লাখ মেট্রিকটন লবণ আমদানির অনুমোদনের খবরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কক্সবাজারের লবণ উৎপাদন এলাকায়। এলাকার লবণ চাষীদের মতে চলতি নভেম্বর মাসে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। আর মাঠে এখনো সাড়ে তিন লাখ মেট্রিকটন লবণ জমা আছে। মাঠের লবণ বাজারে আসতে বড়জোর ১০/১৫ দিন মত লাগতে পারে। এই সময়ের জন্য লবণ আমদানী করা মানে দেশের স্বনির্ভর লবণ খাতকে উপেক্ষা করার শামিল। এতে করে চাষীরা উৎপাদনে আগ্রহ হারাতে পারে। লবণ উৎপাদনে ঘাটতি পরতে পারে।
কক্সবাজার বিসিক সূত্রমতে মাঠে এখন সাড়ে ৩লাখ মেট্রিকটন মত লবণ মওজুদ আছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, লবণ মিলগুলোতে জমা আছে এক থেকে দুই লাখ মেট্রিকটন লবণ। এছাড়াও পাইপ লাইনে আছে ৫০ থেকে এক লাখ মেট্রিকটন লবণ। সব মিলে প্রায় ৪লাখ মেট্রিকটন লবণ এখন মওজুদ আছে। এদিকে চলতি নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে নতুন লবণ মৌসুম। অভিজ্ঞজনদের মতে এখন থেকে নতুন লবণ উৎপাদন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ ২থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন লবণের প্রয়োজন হতে পারে। এতে করে লবণ ঘাটতির কোন শঙ্কা নেই। চাষিদের প্রশ্ন, তাহলে এক লাখ মেট্রিকটন লবণ আমদানীর সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে?
কক্সবাজার বিসিক সূত্রমতে গত লবণ উৎপাদন মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ লবন উৎপাদন হয়েছে।
লবণের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন। তার বিপরিতে উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিকটন। দেড় লাখ মেট্রিকটন কম উৎপাদনের কথা বলে মধ্যসত্বভোগীরা এখন আমদানীর সুযোগ নিতে চায়। সংশ্লিষ্টদের মতে চাষিদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে নার্সিং করা হলে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। এমনকি অতিরিক্ত লবণ রপ্তানী করাও সম্ভব।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই
ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার
ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে
কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার
বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে
আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি
গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স
৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের নাম মেক্সিকান আমেরিকা রাখার পরামর্শ