জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে তপশিল ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলেছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই তপশিল ঘোষণাকে ‘স্বৈরাচারিতার চরম দৃষ্টান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনো স্বাধীন হতে পারে না। সে কারণে শেষ দুটো জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছিল এবং এর ফলে ফ্যাসিবাদ চরম মাত্রায় উপনীত হতে পেরেছে। আরেকটি তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের এই ভূত আবারও জনগণের ঘাড়ে চেপে বসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের সব স্তরের বিরোধী দল আজ নির্বাচনের নামে প্রহসনের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ। সবাই এই তপশিল ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফ্যাসিবাদের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশনকে কোনো বিরোধী দলই বিশ্বাস করে না। এই গণবিরোধী স্বৈরাচারী সরকারকে দেশের মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও এই সরকার স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রমশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলো একযোগে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলেছে। কিন্তু এই ফ্যাসিস্ট সরকার কারো কথারই তোয়াক্কা করছে না। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অপব্যবহার করে যাচ্ছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বার্থে অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায়, আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে দেশের ওপর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মুসিবত আসলে সেটার দায়ভার এই সরকারকেই নিতে হবে এবং জনগণের বিচার থেকে তারা রেহাই পাবে না।