কালকিনিতে চারজন শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম
মাদারীপুরের কালকিনিতে মো. তোফায়েল হোসেন-(৪৬) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে চারজন শিশু শিক্ষার্থীকে চরম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার খাসেরহাট নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর ওই এলাকার সাধারন জনগন বিচারের দাবিতে মাদ্রাসায় অবরুদ্ধ করে রাখেন পাষন্ড শিক্ষককে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ ও ওসি মো. নাজমুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এবং তারা নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে প্রসাশনের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ওই পাষন্ড শিক্ষক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীরা হলেন মো. আবির হোসেন-(৮), সাব্বির-(৭), সাইম-(৭) ও জোবায়ের-(৮)। আজ শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনসাধারন। অপরদিকে ওই পাষন্ড শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
পুলিশ, ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাসেরহাট নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হঠাৎ করে একটি হনুমান হানা দেয়। এসময় ওই মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীরা হনুমানটিকে তাড়ানোর জন্য ঢিল নিক্ষেপ করেন। এতে বাঁধা প্রদান করেন শিক্ষক হাফেজ মো. তোফায়েল হোসেন। কিন্তু শিক্ষকের বাঁধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজ চালিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক তোফায়েল হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই চারজন শিশু শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে আহত ওই শিক্ষার্থীদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে ওই পাষন্ড শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
শিশু শির্ক্ষার্থী মো. আবির হোসেন কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমিসহ আমাদের চারজনকে মাদ্রাসার দরজা বন্ধ করে হাতে, পিঠে, পায়ের নিচে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে এবং লাথি মেরেছে আমাদের হাফেজ হুজুর।
আহত শিক্ষার্থীর পিতা নাসির খান বলেন, তোফায়েল হুজুরে পিটিয়ে আমার ছেলের আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি তার বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল হোসেন বলেন, এই ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য ক্ষোভের সাথে বলেন, শিক্ষকদের কাজ শিক্ষা দান করা। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার র্শিক্ষকরা এমন কাজ করেছে যা মেনে নেয়া যায় না। তবে আমাদের কমিটির সমš^য়হীনতার কারনে বাবা-বার এ ধরনের কাজ করার সাহস পাচ্ছে শিক্ষকরা।
কালকিনি থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষকদের এমন কাজ মেনে নেয়া যায় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই আহত শিক্ষার্থীদের খবর নিয়েছি। তাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করেছি। এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে অর্ভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স