বিজিএমইএর প্রশাসকের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা, হাইকোর্টে রিট
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ এএম | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ এএম
সরকার বিজিএমইএতে প্রশাসক নিয়োগ করলেও অভিযোগ ওঠেছে, প্রশাসকের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে একটি বিশেষ গোষ্ঠী। বিতর্কিত ভোটার তালিকা থেকে নির্বাচিত পূর্ববর্তী কমিটিকে অপসারণ করে, ৫ আগস্টের পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক একটি সঠিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, তবে কিছু পক্ষ এতে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করছেন মালিক পক্ষের কেউ কেউ। আবার ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর (যাদের কারখানা বা রপ্তানি কার্যক্রম ছিল না) মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছেন রিট।
জানা যায়, বিজিএমইএর পূর্ববর্তী নির্বাচনে এমন কিছু কারখানার নাম ছিল, যেগুলোর বাস্তব অস্তিত্ব ছিল না বা যারা দীর্ঘদিন রপ্তানি কার্যক্রমে ছিল না। অভিযোগ ওঠে যে, এক পক্ষ নির্বাচনে সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন তালিকা তৈরি করেছিল। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করে বিজিএমইএকে প্রকৃত মালিকদের সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।
বিজিএমইএ সূত্র জানায়, ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করতে হোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-কে নিয়োগ করা হয়। যখন প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে, তখন এই ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর (যাদের কারখানা বা রপ্তানি কার্যক্রম ছিল না) মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। তারা প্রশাসকের কাছে হোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-এর কার্যক্রম বন্ধের আবেদন জানায়। এ বিষয়ে প্রশাসক আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো বিজিএমইএকে প্রকৃত মালিকদের সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এতে কারা কী করেছে, তা আমাদের ব্যাপার নয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু মালিক প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সভা করছে। তারা প্রশাসক নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করেছেন। তারা চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছেন। পোশাক শিল্পের কিছু মালিক দাবি করেছেন, পূর্ববর্তী ভুয়া ভোটার তালিকা বহাল রাখার জন্য একটি পক্ষ সক্রিয়। তারা সরকারের সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত করার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এছাড়া, ২০২৪ সালের মার্চে বিজিএমইএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সম্মিলিত পরিষদ এবং ফোরাম দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে ভুয়া সদস্যদের বাদ দেওয়ার জন্য ফোরামের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপত্তি জানালেও নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
ফোরামের তৎকালীন প্যানেল লিডার ফয়সাল সামাদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রক্রিয়ার বাইরে কেউ থাকতে পারে না। প্রশাসক যে প্রক্রিয়ায় গেছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক। একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা ছাড়া নির্বাচন আবার প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এফবিসিসিআই এবং এনবিআরের নিয়ম অনুসারে, সদস্য হতে হলে বৈধ টিআইএন এবং আয়কর জমা দেওয়া আবশ্যক, যা বিজিএমইএর প্রশাসক অনুসরণ করছেন। তিনি বলেন, 'স্বাধীনভাবে অডিট করা হচ্ছে। যারা রিট করেছেন, তারা পূর্বের নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে চাচ্ছেন। যদি বিজিএমইএ প্রকৃত সদস্যদের সংগঠন হয়, তবে তাদের আপত্তি থাকার কথা নয়।'
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইন্দোনেশিয়ার নতুন কোচ ক্লাইভার্ট
কোপ দেলরের শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল
পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের
ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ
আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ
পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি
বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ৮ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন
বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারকালে ২ জনের কারাদ-
মিরপুরে তুরাগ নদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান
৪৮ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি
ভারত আইনের শাসন মানে না : রিজভী
ভয়াবহ দাবানলে ছাড়খাড় লস অ্যাঞ্জেলেস
সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ইমরান খানের
‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’ : বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত
সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
আওয়ামী সরকারের অসহযোগীতায় ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানি করা সম্ভব হয়নি : রাষ্ট্রদূত