বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঝালকাঠী-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিষ্ট্রার শাহজাহান ওমর-বীর উত্তম বুধবার দুপুরে আদালত থেকে জামীন লাভ করে রাতেই কারামুক্তির পরে বৃহস্পতিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিচ্ছেন বলে বরিশাল ও ঝালকাঠীতে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর-এর সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার সবগুলো সেল ফোনই বন্ধ রয়েছে। এমনকি তার বাসায় রাজপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি অবস্থান করলেও তার সেল ফোনও বন্ধ ছিল। তবে তার একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিয়ে দিনভর দুই ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ বলছেন, ‘তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোন নির্বাচনে যাবেন না’। আবার অপর একটি সূত্র ‘কৌশলগত কারণে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন’ বলে জানান হলেও তারাও ‘বিষয়টি নিয়ে পরিপূর্ণ নিশ্চিত নয়’ বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু বিকেলে শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ এক যুব দল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঝালকাঠীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে অন লাইনে বিএনপি’র এ ভাইস চেয়রম্যানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন সাংবাদিকগন।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আন্দোলনের মাঝে ঢাকায় গ্রেপ্তারের পরে বুধাবার অদালত থেকে জামিন লাভ করে ঐ রাতেই শাহজাহান ওমর কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। তার জামিন শুনানীতেও নির্বাচনে অংশ গ্রহনের কথা উল্লেখ ছিল বলে একাধিক সূত্রে বলা হয়েছে।
তবে ঝালকাঠী ও রাজাপুরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শাহজাহান ওমর এখনই এলাকায় আসছেন না। তিন অনলাইনে ঢাকায় বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও কবে নাগাদ এলাকায় অঅসবেন তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি কেউ। এব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাথে সেল ফোনে বৃহস্পতিবার দিনভরই যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
তবে নাম প্রকাশনা না করার শর্তে রাজাপুর যুব দলের এক প্রভাবশালী নেতা জানান, ‘নির্বাচনে অংশ গ্রহন নিয়ে নেতার ওপর অনেক চাপ ছিল। অনেক চিন্তা করেই তিনি বিষয়টি চুড়ান্ত করছেন’ বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের পরে শাহজাহান ওমর একাধিকবার তার নিজ নির্বাচনী এলাকা রাজাপুর-কাঠালিয়া নিয়ে গঠিত ঝালকাঠী-১ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১-এর নির্বাচনের পরে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০০৮-এ পরাজয়ের পরে ২০১৩’র নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অংশ না নিলেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা সত্বেও ২০১৮’তে পরাজিত হন। ৩০-১১-২০২৩.