ফরিদপুর অঞ্চল হতে যাওয়া মানুষের মরন যাত্রার মিছিল দীর্ঘ হলেও সুখের আশায় সব খুয়ালো স্বজনহারা পরিবার ।
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
অবৈধ পথে ইউরোপে মরন যাত্রায় ফরিদপুর অঞ্চল হতে যাওয়া মানুষের মৃত্যৃর মিছিল ক্রমশ দীর্ঘ হলেও এই নিয়ে আশানুরূপ কোন ফল এখন ও পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা ।সরকারীভাবে এদের পুনবার্সন করা না হলে অভাবে দু:খে নি:স্ব হবে এসব পরিবার । সমাজের সচেতন বিত্তবানদেরকে এদের জন্য মানবিকভাবে সবর্পরি সচেতনার অভাব , উন্নত জীবনের জন্য দালালদের প্রলোভন সরকারী পদক্ষেপ এর অভাবে এসব সামাজিক ব্যাধীতে কাজ করা দরকার বলে মনে করছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক শাহজাহান খানসহ সচেতনমহল। তিনি মনে করেন দেশের বিদেশে যেতে ইচ্ছুক যুব সম্প্রদায়কে সরকারীছাড়া বেসরকারী বৈধপথে বিদেশে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করার জন্য কাজ যুগপেযোগী সময় এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাবের অনুসন্ধানে জানা যায় , ফরিদপুর অঞ্চলের,মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, সহ এই ৫ জেলার কমপক্ষে ১৭ টি উপজেলার উপশহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আদম ব্যবসায়ী কাম দালালরা কতিপয় রাজনৈতিক নেতা, অসাধু পুলিশ অফিসার,পাসপোর্ট কর্মকর্তার যোগসাজশে, অঞ্চল ভিওিক গ্রাম্য টাউট শ্রেণির মাতুব্বরা রাতারাতি কোটি পথত হওয়ার স্বপ্নে এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। দালালরা ব্রোকাররা মিলে শহর - উপশহর- গ্রামের সহজ সরল মানুষের পেটের মধ্যে ঢুকে মাঝারী ও অভাবী মানুষকে মিষ্টিমুখের ভাষা দিয়ে ভুলবাল বুঝিয়ে বিদেশ পাঠানোর নামে মানুষ কে সর্বশান্ত করে তুলছে। এই ব্যবসা দিন দিন মরনব্যাধি ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়লেও নাই কোন প্রতিকার। পাশা-পাশি বাড়ছে মানব পাচার। পাচারকারী চক্রের হাতে পড়ে বহু নারী এবং শিক্ষিত বেকার যুবকরাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝে মাঝে উল্লেখিত, জেলাগুলোতে দুই একটা মামলার খবর শোনা যায়। একেবারে বেকায়দায় না পড়লেও আদম ব্যবসায়ী বা মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা জেলেও যায় না। মাঝে মাঝে দুই একজন ন্যায়বাদী পুলিশ অফিসার আদম ব্যবসায়ী বা মানব পাচারকারীর নামে মামলার অভিযোগ পেলে খুব আন্তরিকতার সাথে তদন্ত করেন এবং দোষীরা কারাগারে যায়। আবার আইনের ফাক গলে বের হয়ে সাবেক পেশায় ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত দালালরাই উল্টো সর্বহারা হওয়া অসহায় লোকগুলোর নামে মিথ্যা মামলা ঠুকো দেয়। এবং মিথ্যা মামলার জালে আটকে পথের ফকির হয়ে যায়। সব চেয়ে কষ্ট দায়ক বিষয় হলো, আদম ব্যবসায়ী,মানব পাচারকারীর মিথ্যা মামলার চাকা যতো দ্রুত দৌড়ায়, সর্বশ্ব খোয়ানো আদমের বা পাচারকারীর খপ্পোরে পড়া ভুক্তভোগীদের মামলার সঠিক তদন্ত ও হয় না এবং বিচারও পায় না। এমন অভিযোগ বিস্তর। জানাযায়,ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রাম সহ আশ পাশের ৪৭ জন যুবক লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্য স্হানীয় সরকার দলীয় আদম ব্যবসায়ী মোঃ পলাশ বেপারীর মিষ্টি মধুর কথায় ভুলে ঐ এলাকার অশিক্ষিত মুরাদ বেপারীর মাধ্যমে, গিয়াস বেপারীর সার্বক সহযোগিতায় প্রত্যেকে ৭/৮ লাখ করে নগদ টাকা দেয়। পরে ৪৭ জন যুবকই লিবিয়া হয়ে অবৈধ পথেই ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। এর মধ্যে ৩০ জন যুবকের সলিল সমাধি হয় বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়। ফিরে আসে মাত্র ১৭ যুবক। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেলে সিনেমার মত অবর্নীয় অনেক না জানা গল্পও। এই ১৭ যুবকের মধ্যে লালন নামে এক যুবক ইনকিলাব কে জানায়,কেউ ভারত থেকে কেউ বার্মা থেকে আবার কেউ নেপাল থেকে দালাল এবং মাফিয়াদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়া থেকে ট্রলার বা গোল নৌকা অথবা রাবারের বোর্ডে করে নদী পথে সাগর পারি জমায়। স্বাভাবিক ভাবে এতে ২০/২৫ জনের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ট্রলার বা বোর্ডে ১০০/১৫০ লোক বা ৮০/৯০ লোক নিয়ে সাগর পারি দেয়। এ সময় পথিমধ্যে, এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটলেই হয় বহু লোকের প্রানহানির ঘটনা।হয় সলিল সমাধি। সর্ব শেষ ফরিদপুর জেলার উল্লেখিত ৪৭ জন যুবক ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি, লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ৩০ জনের যুবকের সলিল সমাধি হয়।
ঐ নিহত ৩০ যুবকের মধ্যে মোঃ আলামিন মাতুব্বর (২১) পিতা মোঃ মোস্তফা মাতুব্বর, মোঃ মাহফুজ মোল্লা (২১) পিতা মোঃ সোবহান মোল্লা,সর্ব সাং কৃষ্ণনগর উপজেলা নগরকান্দা। এদের দুইজনই ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু তারাও ডুবে মারা যায়। এ ঘটনায়, ক্ষতিপূরণ দাবি করে আলামিনের মা চামেলি বেগম এবং মাফুজের মা মাফুজা বাদী হয়ে নগরকান্দা থানা পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলা দুটি জেলা পিবিআই ( পুলিশ ইনবেস্টিগেশন অব ব্যুরো) তদন্ত করছেন। চামেলীর মামলা নং নগরকান্দা জি-আর ১৫৩ তাং ৮-১-২০২৩ ইং এতে উল্লেখিত, মোঃ মুারদ বেপারি, মোঃ পলাশ বেপারী, মোঃ গিয়াস বেপারী কে ১-২-৩ নং আসামি করে মোট ১০ মামলা হয়। এই মামলায় দালাল কাম সরকার সমর্থীত স্হানীয় মাতুব্বর, দীর্ঘদিন হাজতবাস করে সম্প্রতি বের হয়ে আসে। এর পরপর ঐ দালাল চক্র পলাশ মাতুব্বরের নেতৃত্বে, মামলার দুই বাদীনিকে মামলা তুলে নিতে স্ব পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। শেষ পর্যন্ত চামেলি বেগম এবং মাফুজা বেগম নগরকান্দা থানায় জীবনের নিরাপওা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। আসছে ভয়াবহ মাফিয়া চক্রের রাতের কাহিনি। আগামীকাল ৪ ডিসেম্বর, চোখ রাখুন ইনকিলাবের পাতায়। হকারকে বলে রাখুন একটি কপি দিতে।
জানতে পারবেন ফরিদপুর সদর থানার সরকারি হেলিপ্যাড বাজার ব্যবসায়ী মোঃ মোঃ বুলু তার আপন ভাগিনা মোঃ সেজান কে, মালয়শিয়ায় থেকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্য, আদম ব্যবসায়ী কে নগদ দেন কত মুক্তি পনে কত?। বিস্তারিত আসছে।(চলবে)
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩ মামলা
আবু সাঈদ হত্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বেরোবিতে তদন্ত কমিটি গঠিত
কুতুবদিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২
বিরলে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
কলাপাড়ায় যাত্রীবাহী বাস-অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশু সহ আহত-৫
গাজীপুরে কলোনিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট
মেরিনারের দায়িত্ব নিলেন সামির কাদের চৌধুরী
বাফুফের সভাপতি পদে এবার দৃশ্যপটে তাবিথ
সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা হিজাব পরতে পারবেন
ঢাবিতে মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
‘অধ্যাপক’ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে
নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
এবার ফাঁস হলো রাবি শিবির সভাপতির পরিচয়
ফুটবলের মাঠে চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল
শ্রীলঙ্কার চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে কি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ?
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার