দেশের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম (৩২)।
তিনি উপজেলা সদরে অবস্থিত সেবা নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে।
সূত্র জানায়, উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর মেয়ে মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম গণমুক্তি পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করার পর গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম।
তিনি জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে দাম্পত্য বিরোধে দুই সন্তান নিয়ে আমি বাবার বাড়ী বসবাস করছি। তাই অভাব অনটনের সংসারে জীবিকা নির্বাহের জন্য স্থানীয় সেবা নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করছি। তবে গত কয়েকদিন আগে আমার ননাসের জামাই (স্বামীর ভগ্নিপতি) আমাকে আওয়ামী লীগ জোটের শরীক দল গণমুক্তি পার্টি থেকে নির্বাচন করতে বললে আমি রাজী হয়ে প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি এলাকার মানুষ আমাকে জনসেবা করার সুযোগ দিবেন।
মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম আরও জানান, আমি আগে থেকেই মানুষের সেবা করি। এখন এমপি প্রার্থী হয়েছি, পাশ করলে আর বেশি জনসেবা করতে পারব। এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণ করে সুঃখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকব। এ জন্য আমি আপনাদেরও (সাংবাদিক) সহযোগীতা চাই।
এবিষয়ে কথা হয় মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগমের ভগ্নিপতি মো: শহীদুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আমি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং জেলা শাখা সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছি। সেই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে এনপিপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম সর্ম্পকে আমার বোন হয়। সে হালুয়াঘাটের বাসিন্দা হওয়ায় তাকে আওয়ামী লীগ দলীয় জোটের শরীক দল গণমুক্তি পার্টি থেকে ছড়ি প্রতীকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী করেছি। এতে সে বেশ সাঁড়া পাচ্ছে। আমি তার খরচের সব টাকা দিব। তবে জোটের সিদ্ধান্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।