সদরপুরের ভুক্তভোগীদের আত্মচিৎকার শোনার কেউ নাই?
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
টাকা দিয়েও বিদেশ যেতে পারেনি আবার অনেকে বিদেশ গেছেন ঠিকি কিন্ত আকাম না পাওয়ার কারনে জেল খেটে আবার সদরপুরের খালি হাতে বাড়ী ফিরছেন এমন বহুজনের সন্ধানও মিললো। এরকম ভুক্তভোগীদের আত্মচিৎকার শোনার মত এখন কেউ। বিদেশ গিয়ে অল্প দিনে বহু টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষ কে বলদ বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া মানুষ গুলো দেনার দায় এখন পথের ফকির হয়ে পাগলের মত ঘুরছে পথে পথে। কোথাও কোন কাজ তো পায়ই না। আবার কোথাও কোন কাজ পেলেও দেনার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে অনেকে। ভুক্তভোগীদের এখন কেউ ২০ কেঁজি চালও বাকি দিতে সাহস পায় না। একদিকে পাওনাদারদের নানান ধরনের কথা এবং দ্রুত দেনা পরিশোধ করতে এলাকা ভিওিক চাপও কম নয়। সামাজিক এবং আইনের জটিলতাও আছে অনেক। পাশা-পাশি স্ত্রী কন্যাসহ স্বজনরা পড়ছে মহা যন্ত্রণায়। এমনই একটি পরিস্থিতি দাড়িয়েছে পরিবারের সকলেরই এক সাথে গলায় ধরি দিয়ে আত্মহত্যা করার উপক্রম হয়ে পড়ছে ভুক্তভোগীদের অনেকের । ঠিক এমনটা বললেন সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ তৈয়ব আলী ফকির পিতাঃ মোঃ মোজাহার ফকির।তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ভাইজানরা ৫ বছর ইরাকে ছিলাম কিছু করতে পারিনি। সরেজমিনে প্রতি বেদনকাল তিনি ইনকিলাবের এই প্রতিবেদককে জানান, বড় আশা করে আমার এলাকার মোঃ জসীমউদ্দি ফকির এবং তার ভাই জহুরুল ফকির কে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ইরাকে যাই। সেখানে গিয়ে প্রথমে কাজ নাই। আকামা করার পরে বাহিরে গিয়ে কাজ করতে পারিনি। আকামা না হওয়ার কারনে ইরাকের পুলিশ খুব জালতন করতো। সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৈয়ব আলীর সাথে ইরাকে যাওয়া অপর এক যুবক ইনকিলাব কে বলেন, আমিও জহুরুল ফকিরের মাধ্যমে ইরাকে গেছিলাম আকাম পাইনি তাই লুকিয়ে লুকিয়ে চোরের মত কাজ করতে হয়েছে। এভাবে চললে যে কোন সময় বিপদ হতে পারে সেই ভয়ে মহিলা মানুষের মত লুকিয়ে কাজ করতে হতো। এর পর কাজ পেলাম। কোন রকম এখন মাসের বেতনের টাকা বাড়ি পাঠানোর চিন্তা করলাম সেখানে গন্ডগোল। কাজ করি আমি বেতন হাতে নিয়ে নিজ হাতে বাবা- মা- বউ বাচ্চাদের কাছে টাকা পাঠাবো আমি তাপারিনি। কারন যার মাধ্যমে ওখানে গেছি তিনিই মুল মালিকের কাছ থেকে মাসের বেতন নেন এবং তিনি আমার মাসের টাকা বাড়ী পাঠান। শেষ পর্যন্ত আমি ইরাকের পুলিশের হাতে ধরা পড়ি প্রায় ৭/৮ মাস জেলও খাটি। শেষ পর্যন্ত জহুরুল আমার কোন ক্ষতি পুরনও দেয়নি। তিনি আরো বলেন, জহুরুলের আপন ভাই জসিমউদদীন ফকির তিনিও বিদেশে আগে লোক পাঠাতেন এখনও পাঠায়। সহজ ভাবে কাউকে পাঠাতে পারলে কোন জামেলা হয় না। কেউ জানেও না। ৪/৫ লাখ টাকা নিয়া যখন পাঠাতে পারে না তখনই গ্রামের লোক জেনে যায়। এই বিষয় ইনকিলাবের সাথে কথা কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জসিমউদ্দীনের সাথে তিনি বললেন, আমি এখনও ইরাকে লোক পাঠাই। তবে ভিসা পাইলেই পাঠাতে পারবো। এই দুই প্রতিবেদক তাকে প্রশ্ন করেন ভাই ইরাক যেতে কত টাকা লাগবে? তিনি খুব আরাম আয়েশে বললেন মাত্র ৫ লাখ টাকাবে। কতদিনে পাঠাতে পারবেন? তিনি বললেন কাগজপাতি সব ঠিকঠাক করার সহ, ৪/৫ মাসের মধ্যে পাঠানো যাবে। তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি বিদেশে ছিলেন কত বছর? বললেন, মোট ১০/১১ বছর হবে। প্রথমে সাইপ্রাসে ৬/৭ বছর। এরপর ইরাকে ছিলাম ৩/৪ বছর। আপনি কোন কোন দেশে লোক পাঠাতে পারেন? বললেন শুধু ইরাকেই। প্রশ্ন করা হলো আপনার আরেক ভাই বিদেশ থাকেন তার নাম কি? নাম মোঃ জহুরুল ফকির কোথায় থাকেন? একটু রেগেই বললেন, তা আমি জানি না। ওর সাথে আমার ভেজাল চলছে। আপনার ভাই কি এখনও লোক পাঠায়? কোন দেশে পাঠায়? প্রশ্ন করা হলো আপনি জেলে ছিলেন কেন? কতদিন ছিলেন? আদম মামলা করছিলো কে? তার বাড়ী কোথায়? তিনি রেগে বললেন এটা আমার কোন বিষয় না,জহুরুল একটা সমস্যা করছিলো সে বিষয় একটা মামলা হয়। আমার কোন সমস্যা হয়নি। সমস্যা ভাইর এই বিষয় আমারে প্রশ্ন করবেন না। পরের জামেলা কাঁধে নিবো না। এই বিষয় ইনকিলাবের সাথে কথা ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর দেলো তালুকদারের সাথে তিনি ইনকিলাব কে বললেন,ওরা দুই ভাই ইরাকে থাকতো জসিম উদ্দিন ভাল ওর ভাইয়ের সাথে বহু লোকের জামেলা হইছে আমি জানি। জহুরুল এখন জাপান আছে আমি শুনেছি। অপরদিকে, দুই দালালকে খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসলো মানব পাচারকারী ৭০ সিন্ডিকেটের গোপন তথ্য। বেরিয়েছে মজার ও মধুর কথা বলে বিদেশ নিয়ে কৌশলে মাফিয়াদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে লাখ লাখ মুক্তিপন নেন চাহিদা মত। মুক্তিপন না দিলে চলে অববর্নীয় নির্যাতন। উল্লেখিত বিষয় ইনকিলাবের সাথে কথা উল্লেখিত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল ফকিরের সাথে তিনি বললেন জসিম ও জহুরল ওরা বিদেশে ছিলো।জসিম দেশে আছে জহির বিদেশে। ওদের এক ফুফাতো ভাই নাম মোঃ রাজ্জাক মানিদাহ বাড়ী ওর মাধ্যমে ও ওরা বিদেশে লোক পাইতো আমি শুনছি। মাঝে মাঝে জামেলা হয় শুনি। আর কিছু জানি না। আগামীকাল ১৮ পর্বে জানুন সদরপুরে ৭০ মাফিয়া সিন্ডিকেটের সদস্য হাবি মুন্সি পিতাঃ মোঃ জব্বার মুন্সী এরা ইরাকে আটকিয়ে কিভাবে মুক্তি পন আদায় করেন! (চলবে)
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
‘অধ্যাপক’ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে
নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
এবার ফাঁস হলো রাবি শিবির সভাপতির পরিচয়
ফুটবলের মাঠে চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল
শ্রীলঙ্কার চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে কি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ?
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার
দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠে" প্রকাশকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুর সাংবাদিক জোটের প্রতিবাদ সভা
হাত-পা ও চোখ বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো হয় --- আবু বাকের
ইনসি ইকো প্লাস সিমেন্ট নিয়ে এলো বাংলাদেশের সমূদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের উপযোগী করে দীর্ঘস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সমাধান
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা জন্য আমাদের লড়াই চলছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বাগমারার সাবেক এমপি এনামুল কারাগারে
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে রাজনৈতিক দল এলডিপি
পরিস্থিতির আলোকে ছোট ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হতে পারে- গভর্নর
পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির কাক্সিক্ষত উন্নতি হয়নি: বিজিএমইএ
অমিত শাহ’র বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের
ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও নতুন বাংলাদেশ