সদরপুর নিজগ্রামের মাফিয়া চক্রের সদস্য হাবি মুন্সি এখন কোথায়?
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম
বাংলাদেশ হয়ে ভারত। ভারত হয়ে মালোয়শিয়া। মালোশিয়া হয়ে অস্টোলিয়া। তেমনি বাংলাদেশ হয়ে বার্মা। বার্মা হয়ে লিবিয়া এবং লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকা ডুবিতে সলিলসমাধি হওয়ার খবর এখন হরহামেশাই শোনা যায়। আবার কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছে ও গেছেন এমনও শোনা যায়। তেমনি উল্লেখিত, দেশে অবৈধ পথে যাওয়ার পথে বহুজন সংশ্লিষ্ট দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে মাসের পর মাস জেল খাটছেন। আবার কেউ শূন্য হাতেই বাড়ী ফিরছেন। বাড়ী ফিরে ভয়াবহ মরন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যন্ত্রণা পোহাচ্ছে।আবার কারো জীবন প্রদীপও নিভে গেছে। অপরদিকে, মালোশিয়া অথবা লিবিয়ায় হয়ে অস্ট্রেলিয়া বা ইতালিতে যাওয়ার পথে মাফিয়াদের হাতে অপহরণের শিকার হয়ে অবর্ননীয় নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। জীবন্ত লাশ হয়ে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপন দিয়ে বাড়ী ফিরতে হয়েছে অনেকের। এবার আসি মাপিয়ারা কিভাবে মুক্তিপনের টাকা নেন। টাকা পরিশোধ হয় কিভাবে? তারাই বা কারা? এদের পরিচয় কি? এই তথ্য খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে বিদেশি মাফিয়াদের হাতে বাংলাদেশের তৈয়রী আরো ভয়ঙ্কর মাফিয়াদের কথা। এত দিন সরাসরি দেশী কোন মাফিয়ার নাম নাম না গেলেও এবার পাওয়া গেল সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী এলাকায় এক বাংলাদেশ মাফিয়া মাফিয়াদের প্রতিনিধি সদস্য। ঐ এলাকার সাবেক ইরাক প্রবাসী জসিম ফকিরকে খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসলো তার আপন সহোদর প্রবাসী কাম আদমবেপারি জহুরুল ফকিরের বহু না জানা কাহিনি। সরেজমিনে, এই দুই প্রতিবেদক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানতে পারেন, বহু তথ্য উপাওের বিষয়। এক সময়ে বড় মাপের আদমব্যবসায়ী ছিলেন, জনপ্রতিনিধ জসিম ফকির এখন নিজগ্রাম ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। অনেকেই বলছেন টাকায় সবই হয়। অথচ তিনি ও বহু মানুষ বিদেশ নিতে না পারায় তাকেও পোহাতে হয়েছে অনেক জক্কি জামেলা। অবশেষে, ঢাকার গাজীপুরে এক লোক একটি মামলা করলে বেশ কিছু দিন জেলও খাটেন তিনি। ভাই জহুরুল ফকিরও জেল খাটেন একসাথে। জসিম ফকিরের ইনকিলাবের কথা হলে, তিনি নিজের মুখেই স্বীকার করলেন এখনও আমি ইরাকে লোক পাঠাই ৫ লাখ টাকা হলেও সম্ভব। তবে কারো টাকা মাইরাও খাইনি। কাউকে কষ্ট ও দেইনি।
অপরদিকে, জসিম ফকিরের আপন ছোট ভাই জহুরুল ফকির এখন নিজগ্রামের মানুষের কাছে হয়ে আছেন ভয়ংকর মানুষ হিসেবে। জহুরুল ফকির বহু জনের লাখ লাখ টাকা নিয়ে গিলে খেয়েছেন ঘুরিয়েছে মাসের পর মাস। এমন কথাও ইনকিলাব কে বললেন ঐ এলাকার এক মাত্র নারী সাংবাদিক মোসাঃ ফৌজিয়া। কথা হয় নিজগ্রামের সাবেক মেম্বর মোঃ দেলো তালুকদারের সাথে তিনি ইনকিলাব কে বললেন, জহুরুল লোক হিসেবে ভাল না। সেও আগে ইরাকে লোক পাঠাই তো।এখন ইরাক থেকে ফ্রান্স গেছে। সেখানে ও নাকি জেল খাটতেছে এমনটাই তিনি বললেন। ঐ হউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল ফকির বললেন, আমি জানি ভাঙ্গা মানিকদির এক লোক জসিম /জহুরুলের ফুপাতো ভাই তার মাধ্যমে ও ওরা লোক পাঠায়।
এতো কিছু মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে পড়লো ঐ এলাকার মাফিয়া সদস্য মোঃ হাবি মুন্সি পিতা মোঃ জব্বার মুন্সির নাম। কে এই হাবি মুন্সি? হাবি মুন্সি ও ইরাকে থাকে বলে ইনকিলাব কে জানালেন, একই এলাকার মোঃ তৈয়ব আলী তিনি দীর্ঘদিন ইরাকে থেকে আসছেন। তবে কিছু করতে পারেনি এমনটাই ইনকিলাব কে বললেন তিনি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক, ৪২ বছর বয়সী জনৈক চায়ের দোকানদার ইনকিলাব কে বলেন, হাবি দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে লোক নেয়, কিন্ত তার নেওয়ার স্টাইল অন্যরকম। রকম সম্পর্কে তিনি বললেন, ইরাক অস্ট্রেলিয়া,ইতালি, মালোশিয়া এসব জায়গা সে লোক পাঠায়। কারো কাছ থেকে ৪/৫ লাখ আবার কারো কাছ থেকে ৮/৯ লাখ। মানুষ বুঝে ১০/১২ লাখ টাকাও নেয়। আবার এর চেয়ে অনেক কমেও নেন। লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় হাবির মত ফেরেস্তা মানুষ এদেশে আর দুই একটা নাই এরকম আচারন তার। যাদের বিদেশ নেয় তাদের সাথে এত মিষ্টি মধুর ব্যবহার করেন যে কেউ অল্পতেই বিশ্বাস করে ফেলেন। ভাল ব্যবহারের মধ্যে ও রয়েছে একটি বিশাল শয়তানি। সবকিছু ঠিক ঠাক করে বিদেশ নিয়ে রওয়ান হয়ে যান, আবার কাউকে সামান্য খরচ নিয়ে লাখ লাখ টাকার দায়িত্ব সে নিজে নিয়ে আপনজন তৈরি করে নেন। এতে কারোর অবিশ্বাস করাও কিছু থাকে না। গোপন সূত্রটি দাবি করলো হাবির সাথে লিবিয়া এবং মালয়শিয়ায়র মাফিয়াদের সাথে রয়েছে একটি বড় সখ্যতা। প্রথমে সঠিক পথে রওয়ানা হয়ে পড়ে মাফিয়াদের সুুবিধাজনক রুট দিয়ে চোরাই পথে লোক নিয়ে রওয়ানা হন হাবি। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা মাফিয়া সদস্যরা তাদের সূযোগ মত হাবির নেওয়া লোকগুলের মধ্যে যারা একটু বেশি পয়সার মালিক অথবা অপহরনের পর মুক্তিপনের বেশী টাকা দিতে পারবে এমন সব লোকের মধ্যে হাতে গোনা ৭/৮ জনকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অপহরণ করা লোকগুলোকে মাফিয়াদের ডেরায় নিয়ে যায়। রাত- পরে দিন শেষেও কাউকে খাবার দেয় না। প্রতিদিন কষ্ট দিয়ে ছোট খাটো শাস্তি দিয়ে ২৪ ঘন্টা পর একটা রুটি খেতে দেয়। এমনি ভাবে কাটে দুই এক সপ্তাহ।শুকিয়ে কাঠ হয়ে চেহারা কঙ্কাল হলে অপহরন করা লোকগুলোর স্বজনদের কাছে ভিডিও কল দিয়ে অবর্নীয় নির্যাতন চালানো হয়। এ অবস্থায় মাফিয়াদের মোবাইলে ভিডিও কল দিয়ে মুক্তি পনের টাকা দাবি করে বাবা- মা- স্ত্রী সন্তানের কাছে। তখন স্বজনের নির্যাতন চালানো আত্মচিৎকার আওয়াজ শোনানো হয়। দখানো হয় নির্যাতন করার দৃশ্য। এসব দেখে আপনজনরা মোটা অংকের টাকা পাঠাতে বাধ্য হয়। মাফিয়ারা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে কার মাধ্যমে টাকা নেয়? হাবি কিভাবে মাফিয়াদের সহযোগী সদস্য? চোখ রাখুন ইনকিলাবে। হকার বলুন আপনার কপি রাখতে
আসছে আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর বূধবার -১৮ পর্বে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে একদিনে ৮৭০ মামলা, জরিমানা ৩৫ লাখ ৮০ হাজার
তারাকান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দর্শনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক অবরোধ
কেপিএম নতুন এমডি মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ যোগদন
কালীগঞ্জে রাস্তার পাশে পড়ে ছিল অজ্ঞাত লাশ
চীনের মধ্যাঞ্চলের সেতুতে দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, আহত ৭
শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে
নতুন সৃষ্ট পদের এক-তৃতীয়াংশ ক্যাডার বহির্ভূতদের জন্য সংরক্ষণ পরীক্ষায় কমিটি
সিলেটের সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার আসামি সাবেক ওসি মঈন গ্রেপ্তার
‘নতুন বাংলাদেশকে’ জাতিসংঘে উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
দেশের অর্থনীতির জন্য পায়রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-উপদেষ্টা বি:.জে:.(অব:) ড.এম সাখাওয়াত হোসেন
শ্রীনগরে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আটক, হত্যা মালা দায়ের।
কারখানা ভাঙচুর চেষ্টার অভিযোগে গাজীপুরে ৬ জন আটক
কিশোরগঞ্জে তীব্র তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আ.লীগ
শ্যামল দত্তকে, কারাগারে প্রেরণ
আরও দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শাহরিয়ার কবির
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন: জেলেনস্কি
মোংলায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান