মানব পাচার প্রতিরোধে ফরিদপুর অঞ্চলের প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়া জরুরি
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম
মানব পাচার প্রতিরোধে, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রশাসনের উদ্যোগ নেয়াটা খুবই জরুরি হয়ে পড়ছে। অন্যথায়, পাচারকারী চক্রের অসাধু ব্যাবসায়ীদের হাত আরও লম্বা হয়ে উঠবে সচেতন মহল মনে করেন। সারা দেশের ন্যায় প্রতি বছর ফরিদপুর অঞ্চলে ও এই দিবসটি যথাযথভাবে পালিত হয় এবং স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের সেমিনার কক্ষে অথবা হলরুমে একটি বিশাল প্রতিরোধ প্রোগ্রাম করা হয়। মানব পাচার প্রতিরোধের নামে সভা মিটিং সেমিনারে আর কোন উপকার না হলেও সরকারের ফান্ড থেকে বেশ কিছু অর্থ খরচ হয় দেশব্যাপী। এরকম অভিযোগ ও কম নয়। সুশীল সমাজের বক্তব্য, আসলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমনই এক অভিযোগ তুললেন, ফরিদপুর জেলা সদরের সাবেক মুক্তিযোদ্বা থানা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমীনুর রহমান মুসা। তবে আদমবেপারিদের বিরুদ্ধে এবং মানব পাচার প্রতিরোধের বিষয়ে জনাব,রামানন্দন পাল (ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদপুর কালেক্টরেটের) সাথে কথা বললে, তিনি ইনকিলাব কে জানান, আপনারা ইনকিলাব পত্রিকায় ২১/২২ পর্বে সংবাদ পরিবেশন করছেন, আমি জানতে পেরেছি। তিনি ইনকিলাব কে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমারাও,, মানব পাচার প্রতিরোধে ফরিদপুর জেলা থেকে" বহু কাজ করতে চাই। আপনারও পাশে থাকবেন সঠিক সংবাদ পরিবেশন করবেন, সঠিক তথ্য পেলে এই বিষয় আরো ব্যাপক কাজ করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, আমরা চিন্তা করেছি,, জেলা মানব পাচার প্রতিরোধে " কমিটিতে আপনারা সহ যারা এর উপর কাজ করেন, বা পাচারকারীদের উপর যেনারা সংবাদ পরিবেশন করছেন, তাদের আরও তথ্য উপাও নিয়ে আরও অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে, বলে তিনি আশা করেন। ইনকিলাবে পরিবেশন হওয়া সংবাদ এবং সঠিক কিছু তথ্য উপাওের বিষয়ে সময় করে কথা বলতে বুধবার, (২১ ডিসেম্বর) তার অফিস যাওয়ার জন্য জানান। উল্লেখিত বিষয় আরো ব্যাপক আলোচনা করবেন বলেও তিনি ইনকিলাবের প্রতিবেদকে জানান। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেল, প্রতি বছর,, মানব পাচার প্রতিরোধে,, এর ব্যানারে সভা ও আলোচনা পর্যন্তই সীমাবদ্ব থাকে। এ নিয়ে ব্যাপক কার্য্যকরি ভুমিকা পালন করা না হলেও ইনকিলাবের ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশনের পর,, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনের সহয়তাদানে জোর দাবি উঠছে। এই বিষয় ইনকিলাবের সাথে কথা হয়,ফরিদপুর,, আভা এনজিওর পরিচালক প্রশাসন ও বিশিষ্ট এনজিবিদ জনাব,মোঃ আশরাফ আলীর সাথে
। তিনি ইনকিলাব কে বলেন, প্রতি বছর তো ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দপ্তরের হল রুমে,, মানব পাচার প্রতিরোধে,, সেমিনার -আলোচনা সভা হয়। আমি অথবা আমাদের প্রতিনিধি, অন্যান্য এনজিওদের প্রতিনিধিরাও থাকেন। অনেক আলোচনা হয়। উপস্থিত বক্তব্যরা ব্যাপক দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। প্রশ্ন করা হলো,, মানব পাচার প্রতিরোধে বা আদম ব্যাবসায়ী বা আদম বেপারীদের উপর জেলা প্রশাসক ফরিদপুর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিছেন বা কেউ কোন অভিযোগ দিয়েছেন এবং ভুক্তভোগীর অভিযোগের আলোকে জেলা প্রশাসক বা পুলিশ প্রশাসন কোন ভুমিকা পালনের দায়িত্ব নিয়েছেন, এরকম কোন তথ্য আপনার কাছে জানা আছে কিনা? তিনি বললেন, আমার জানা নাই। সত্যি কারোই জানা নাই। কারন,, মানব পাচার প্রতিরোধে,, তেমন কোন জনসচেতনতামুলক প্রচার করা চোখে পড়েনি। শুধু মাত্র জেলা সদের গুটি কয়েক এনজিও প্রধান বা কর্মী অথবা প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় এসে তাদের কিছু মুখস্থ কথা বলে জেলা প্রশাসকের আপ্যায়ন নিয়ে চলে যান। কিন্তু এ পর্যন্ত জেলায় যারা মানব পাচার প্রতিরোধে কাজ করেন বলে জোর গলায় দাবি তুলেন, তাদের কাউকেই, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন লোকের কাছে মানবিক দায়িত্ববোদ থেকে অথবা জনস্বার্থে একটি লোককে বা কোন ভুক্তভোগীকে নিয়ে সহযোগিতা চাইতে এগিয়ে আসেননি এমন অভিযোগ বিস্তর । অথবা আসছেন এরকম টাও শোনা যায় নি।
অথচ এই খাতে প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব খরচ হয়েই চলছে। এই বিষয় কথা হয়,ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের চামেলি বেগম এবং মাফুজা বেগমের সাথে, তারা দু'জনই ইনকিলাব কে বলেন বিগত এক বছর হয় আমাদের দুটি ছেলে লিবিয়া যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবিতে মারা গেছে বলে দালালরা জানিয়েছেন। আমাদের দুই ছেলের সাথে আরো ২৯ জন এখনও নিখোঁজ আছে। কোথায় আছে কিভাবে আছে, আদৌও বাঁচা আছে কিনা? এই বিষয় জানার জন্য বহু জায়গায় ঘুরছি কেউ কোন পরামর্শ দিলো না। পাশেও দাঁড়ালো না। শুরু থেকে ইনকিলাব কে পাইলাম। আপনারা এখনও আছেন। তালমার কৃষ্ণনগর গ্রামের দালাল মুরাদ, পলাশ ও গিয়াস বেপারী নামে নগরকান্দা থানায় আমরা ২ টা মামলা করছি। মামলা ২ টি এখন জেলার পিবিআই তদন্ত করেছেন। ৪/৫৷ জন আদম বেপারির নামে মামলা করে আমরা নিজেরাই বিপদে। আমরা এখন বাড়ীতেও থাকতে পারি না। মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত দিচ্ছে জীবন নাশের হুমকি। বিষয়টি নগরকান্দা থানার ওসি সাহেবকে, জানাইলে তিনি আমি (চামেলি বেগম) এবং মাফুজের- মা, মাফুজার দুটি জিডি নেন। জিডি করে আরেক বিপদে। জিডি করলাম কেন? সব মিলিয়ে এখন নিজের বাড়ী নিজেরাই পরবাসী। মানব পাচার প্রতিরোধে বা বন্ধে বিগত ৫ বছের কি ভুমিকা পালন করছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা। বিগত ৫ বছরের জেলায় কতটা মামলা হয়েছে। আটক হয়েছে কতজন।চার্জসীট হয়েছে কয়টার। সাজা বা শাস্তির আওতায় আসছেন কতজন। বিস্তারিত বলবেন আজ বুধবার(২১ ডিসেম্বর) ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব, রামানন্দ পাল। তার মুখ থেকে জেনে সকলকে জানাবো আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ পর্বে) চলবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম
মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী
কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা
প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য
সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি
সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি
তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার
নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন
ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত
থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব
হঠাৎ কেন ভারত সফরে যাচ্ছেন চীন ঘনিষ্ঠ মুইজ্জু
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর পদত্যাগ
হেলিকপ্টারের তেল শেষ! ভোটপ্রচারে যেয়ে বিপাকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের পর শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি
রামাল্লায় ভারী অস্ত্র নিয়ে আল জাজিরা অফিসে ইসরাইলি সেনাদের হানা
শান্ত-সাকিবের সাবধানী শুরু
ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো মুখোমুখি হতে চ্যালেঞ্জ কমলার
পরিচারককে অপমান! মেয়েকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে বিপাকে রণবীরের বোন