ফুলে শোভিত গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হলো কনস্টেবল মুজিবুলকে
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৪ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৪ এএম
এমন গাড়িতে কখনো সামনে বসার সুযোগ হয়নি। আজ সেই গাড়িটি ফুলে শোভিত মুজিবুল আলম ভূইয়ার জন্য। তাকে ডেকে সামনের সিটেই বসানো হলো। গাড়িতে উঠার আগে কাঁদলেন মুজিবুল, কাঁদালেন। বিষয়টা মনে হলে কয়েকঘন্টা পরও আবার তিনি অঝোরে কাঁদলেন।
মুজিবুল আলম ভূইয়া বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল। তার চাকরি জীবনের শেষ দিন গেছে বুধবার। সকালে থানা পুলিশের গাড়ি সাজিয়ে সেটাতে তুলে তাকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেন সহকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় শেষ কার্যদিবসে দায়িত্ব পালন করেন মুজিবুল আলম ভূইয়া। সকাল নয়টার দিকে থানা পুলিশের গাড়িতে করে কসবা উপজেলার তালতলা গ্রামের বাড়িতে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয়। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূরে আলমসহ অন্যান্য সহকর্মীরা তাকে কর্মস্থল থেকে বিদায় দেন। এ সময় মুজিবুল আলম সবার কাছ থেকে দোয়া চান। গাড়িতে উঠার আগে তার চোখ গড়িয়ে পানি পড়তে থাকে।
মুজিবুল আলম বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। প্রথমে কুমিল্লা জেলায় তার পোস্টিং হয়। এরপর একে একে তিনি সিলেট, হবিগঞ্জ, রাঙামাটি, লক্ষীপুর, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ ও সর্বশেষ নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগ দেন। সর্বশেষ কর্মস্থল আখাউড়া থানায় তিনি নয় মাস চাকরি করেন। মুজিবুল আলম কসবার তালতলা গ্রামের হামদু মিয়া ভূইয়ার সন্তান।
কথা হলে মুজিবুল আলম ভূইয়া ইনকিলাব কে বলেন, ‘একদিকে আমার আনন্দ লেগেছে। অন্যদিকে কষ্টও পেয়েছি। আমাকে বিদায় বেলায় গাড়ি সাজানোসহ অন্যান্য আয়োজন দেখে আমার আনন্দ। সাথে থাকা আমার ছেলে ইফতেখার আলম ভূইয়াও এসব দেখে খুশি হয়েছে। আর কষ্ট লেগেছে প্রায় ৪০ বছরের চাকরি জীবনে সমাপ্তি টানতে হতো বলে। এখন আর আমার সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে না ভেবেও কষ্ট লাগে। আমার ভেতরটা খুব জ¦লতেছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘চাকরি হওয়ার পর কোনোভাবেই ছাড়তে চাইছিলেন না মা। বাড়ির বড় ছেলে বিধায় চাকরিটা যেন না করি সে কথা বলতেন। মাকে বুঝাতেন বাবা। চাকরিতে যোগদানের সময় বাবা-মায়ের দোয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বিদায় বেলায় ওসি স্যারসহ সহকর্মীদের কাছ থেকে দোয়া নিয়েছি। কালকে (বৃহস্পতিবার) বাবা-মায়ের কবরে গিয়েও দোয়া নিবো।’
চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুজিবুল আলম ভূইয়া বলেন, ‘সবাই মিলে মিশে কাজ করেছি। কখনো কোনো ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়নি। সব জায়গার সহকর্মীরাই ছিলেন আন্তরিক। সবাইকে এখন অনেক বেশি মিস করবো।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ
বিগত ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছয়জনের পাঁচজনই ছাত্রলীগের
রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ১, থমথমে পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি, ৭২ ঘন্টার অবরোধের ডাক
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান
নিরাপদ ও নির্ভয়ে উদযাপন হবে শারদীয় দূর্গোদসব এবং দূর্গাপূজা- এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম
মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না: উপদেষ্টা নাহিদ
চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর
বলিউডে কারিনা কাপুরের ২৫ বছর
মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ
রাজশাহীতে ট্রেনে বরযাত্রীদের ওপর হামলা
চিহ্নিত গোষ্ঠী আবার দখলদারি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে : সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই
গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!
যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা