পৌষের হালকা থেকে মাঝারী কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী তাপমাত্রায় বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন পর্ব শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে শুনশান নিরবতা লক্ষ্য করা গেছে। ভোটারদের অপেক্ষায় আছেন ভোট কর্মীগন। কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও শরিক দলগুলোর কিছু কর্মীও ভোটেরদের অপেক্ষায় আছেন। ডিসেম্বরের এ সময়ে বরিশালে স্বাভাবিক সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১১.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে রোবববার সকালে তা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রী ।
প্রধান প্রধান বিরোধী দলহীন এ নির্বচনে বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২১টি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহনের লক্ষে প্রায় ৩৮ হাজার আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য এবং ৫৫ হাজার ভোট কর্মী নিয়োজিত আছেন। প্রায় সব কেন্দ্র্ আইন-শৃংখলা বাহিনী ও ভোট গ্রহন কর্মীর চেয়েও অনেক কম ভোটারের উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল। বরিশাল বিভাগে ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৫২২ জন ভোটার ২ হাজার ৮১৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৭ হাজার ২৯৬টি কক্ষে ভোট দেয়ার কথা। এ লক্ষ্যে ৫৪ হাজার ৬৭৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
কিন্তুু বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিনাঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলো সকাল সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্য়ন্ত অনেকটাই ফাঁকা লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত যানবাহনের বাইরে শুধুমাত্র দু-একটি এ্যাম্বুলেন্স নিরবতা ভেঙে ছুটে চলছে মাঝে মাঝে।
এবারের নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনে প্রতিদন্ধী ১২০ প্রার্থীর মধ্যে ৯৫ জন দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ২৫ জন। ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনেই প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত সমমনাদের সাথে আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টিকে ৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপি’কে ১টি করে আসন ছেড়ে দেয়ায় তাদের নিজস্ব প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। কিন্তু বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদ দৈত নাগরিকত্বের কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে অযোগ্য ঘোষিত হবার পরে ঐ আসনে দলটির কোন প্রার্থী নেই। ফলে ২১ আসনে দলটির প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। অপরদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ১৮ প্রার্থীর মধ্যে ৩জন আওয়ামী লীগের সাথে আসন ভাগাভগীতে সমর্থন পেয়ে ভোটের মাঠে থাকলেও অবশিষ্ট ১৫ জনের মধ্যে ৩টি আসনে দুজন প্রার্থী নির্বচন থেকে সড়ে দাড়াবার পরে অবশিষ্ট ১২টি আসনেও তেমন কোন তৎপড়তা ছিল না।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষকগন অপেক্ষায় আছেন বেলা বারার সাথে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারে উপস্থিতি কোন পর্যায়ে যায়, তা দেখার জন্য। সর্বশেষ গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৫০ ভাগেরও কম । আওয়ামী লীগ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীগন ঐ নির্বাচনে কঠিন লড়াইয়ে থাকলেও বিএনপি ছিলনা। তবে জাপা প্রার্থী অখ্যাত এক স্বতন্ত্র প্রার্থীরে চেয়েও কম ভোট পেয়ে তার সাথে জামানত হারান।
বরিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে সশস্ত্র বাহিনী ও র‌্যাব এবং আইন-শৃংখলা বাহিনী রন পাহাড়ায় আছে।