কুমিল্লায় ১১ টি আসনের সবকটিতেই সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট বের করার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন কেন্দ্রে ভোট কক্ষে ঢুকে সরকারি প্রিজাইডিং অফিসার থেকে জোর-পূর্বক ব্যালট বই নিয়ে নৌকায় সিল মারছে প্রার্থীর লোকজন।

সকাল ৯ টার দিকে কুমিল্লার চান্দিনা আসনে দোল্লাই নবাবপুরের একটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা পার্টির লোকজন ভোট কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ব্যালট বই নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে শুরু করে। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে ব্যালট পেপার পেলে নৌকার লোকজন কেন্দ্র ছেড়ে দৌড় দেয়।

ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার জানান, সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন লোক ভোট কক্ষে ঢুকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে থাকে। এ সময় আমি তাদের ঝাপটে ধরে ব্যালট বইটি রক্ষা করি। ততক্ষণে পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এলে নৌকার লোকজন দৌড়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।

এদিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার আসনের গুনাইঘর ইউনিয়নের পদ্মকুট গ্রামের একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থীর লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দিয়ে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারের সিল মারার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এজেন্ট।এ সময় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার একটি ব্যালট বইয়ের একাধিক পাতায় নৌকার সিল মারার বিষয়টি সাংবাদিকদের দেখান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন শীতের সকাল হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।