বিরোধী দলের হরতাল ও বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। চরম ভোটার সংকটের মধ্যেও চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের এমপি জাফর আলমের অতীতের তান্ডবের কথা ভুলেন নি
ভেটাররা। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এখন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ পার্টির জে. ইব্রাহীম।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে এমপি জাফরের তান্ডবে অতীষ্ঠ ভোটাররা জে. ইব্রাহীম এর দিকে ঝু্ঁকছে এবং তাঁকেই তারা এই আসনে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান বলে জানা গেছে। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি জাফর আলম এবার নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জে. ইব্রাহীম। সরকারী দল আওয়ামী লীগ জে. ইব্রাহীম এর পক্ষে মাঠে নেমেছেন আটঘাট বেঁধে।

জানা গেছে, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়ায়) ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে সহস্রাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি জাফর আলম। এসব সন্ত্রাসীদের চকরিয়া পেকুয়ার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে জড়ো করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাফরের লালিত সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের লোকজন ও সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অব, মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিমের পক্ষে কাজ করার কারণে ৭০টি পরিবারের পানির মোটর খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এমপি জাফরের লোকজনের বিরুদ্ধে। তারা পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের
অনেক সমর্থকের ঘরবাড়িও। নির্বাচনে পারাজিত হলে দখলকৃত কয়েক হাজার একরের শতাধিক চিংড়ী ঘেরসহ রাজত্ব হারানোর ভয়ে মরণ কামড় দিতে চান এমপি জাফর। তবে নির্বানী এলাকা ঘুরে জানা গেছে ভিন্ন চিত্র। জাফরের তান্ড যেন এবার সমাপ্ত হতে চলেছে।

সর্বশেষ মাঠ জরিপে জানা গেছে, জাফর বাহিনীর এসব তান্ডবের জবাব দিতে ভোটাররা জে. ইব্রাহীমকে তাদের প্রতিনিধি বানাতে চান।

আওয়ামী লীগ নেতা ও চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও চকরিয়া উপজেলার ফজলুল হক সাঈদী সহ কয়েকজন ভোটার জানান, এমপি জাফর তার পাঁচ বছরের শাসন আমলে চকরিয়া- পেকুয়া চোর ডাকাতের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছেন। মানুষের কাছ থেকে শতাধিক চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছেন। মানুষের ভিটেমাটি দখল করে রেখেছেন। এখন ভোটের মাধ্যমে জনগন এর জবাব দিতে চায়।