প্রধানমন্ত্রী ও ইলেকশন কমিশনের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়েছে আমরা-সিলেট-২ আসনে ভোট বর্জনকারী ৪ প্রার্থী
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গতকাল রবিবার ভোট চলাকালীন ও ভোট শেষে ‘সুষ্ঠু পরিবেশ নেই’ অভিযোগে সিলেটের ৩টি আসনের ৭ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এর মধ্যে সিলেট-২ আসনের ৪, সিলেট-৩ আসনের ২ ও সিলেট-৪ আসনের একজন।
এই ৭ জনের মধ্যে সিলেট-২ আসনের ৪ প্রার্থী সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগরের পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন বর্জনকারী সিলেট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরমেয়র মুহিবুর রহমান এবং তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক। গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান এমপি বলেন- গতকাল আমরা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় ও ইলেকশন কমিশন থেকে আমাদেরকে বার বার বলা হয়েছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফ্রি এন্ড ফেয়ার হবে। কিন্তু তাদের কথায়-কাজে মিল পাওয়া যায়নি, প্রহসনের নির্বাচন উপহার দেওয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন-গতকাল (রবিবার) যেটি হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ একটি প্রহসনের নির্বাচন। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও ইলেকশন কমিশনের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়েছে। গতকালের এটি কোনো নির্বাচনই ছিলো না তাই আমরা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের এজেন্টদের মারধর, কেন্দ্রে করে জোর করে বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল করে টেবিল কাস্টসহ ব্যাপক অনিয়মের কারণে ১২টার আগেই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই আমরা। পরে বেলা ২টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেই আমরা চারজন। আমরা সবাই গতকালের সিলেট-২ আসনের সব কেন্দ্রের ভোট ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং আবারও নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের আইনজীবির সঙ্গে পরামর্শ করে দু-এক দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, আমাকে একটি সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রেখে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা টেবিল কাস্ট করেছেন। আমি বার বার ফোন করেও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি প্রায় দুই ঘণ্টা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। এরপরই আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের এজেন্টদের নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়নি, অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার ছিলো না।
তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক বলেন- আমি একটি সূত্রে জানতে পেরেছি, আগের রাতেই ৩৮টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা হয়ে গিয়েছিলো। আমরা এই ৪ প্রার্থী দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়েছি। সেখানকার সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা এখানেও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। একটি প্রহসনের নির্বাচন আমাদেরকে উপহার দেওয়া হয়েছে। আমরা এ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃভোটের আবেদন করছি। পাশাপাশি আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুফিয়ান, সেক্রেটারি রাকিব
মনিরামপুরে পলিথিনের বিকল্প পাট জাতীয় পণ্য প্রশিক্ষনে ঝুকছেন নারীরা
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে’
কালীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা
৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে: সাইদ সোহরাব
এবার শেরপুর সীমান্তে সোয়া দুই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
ইবি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ২৫তম ফ্যামিলি ডে উদযাপন
মাদারীপুরে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় বিএনপি নেতা সাজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা
ডিআরইউ সদস্য ও সদস্য সন্তানদের উশু প্রশিক্ষণ শুরু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটের অভিযোগ
গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করে আবারো ঘুরে দাড়াতে চায় ই'কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ
দেবোত্তর বাজারে লিফলেট বিতরণ করলেন জেলা সমন্বয়ক প্রধান ফাহাদ
‘আগস্ট বিপ্লবে ইসলামপন্থিদের বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না’
পালালেন এক ওসি, প্রত্যাহার আরেক ওসি
মাগুরার শ্রীপুরের কোদলা গ্রামে দু দলের সংঘর্ষে আহত ১৭ একাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর
২০১৮ এর কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হতো না : আবু হানিফ
বগুড়ায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মামুন
আলফাডাঙ্গায় হালি পেঁয়াজের চাড়া রোপনের ধুম পড়েছে
শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ড. সোহেল, সদস্য সচিব ড. মাসুদ