রংপুরে লাশের রহস্য উদঘাটন, রিকশা কেড়ে নিতেই পরিকল্পিত হত্যা
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০২ পিএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
রংপুর নগরীর চিলারঝাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের নেপথ্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আলেফ উদ্দিনের কাছ থেকে তার ব্যাটারিচালিত রিকশাটি কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ ও মাদকদ্রব্য সেবনে অচেতন করে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন আসামিরা।
রিকশাচালক আলেফ উদ্দিনের হত্যারহস্য উন্মোচন ও আসামিদের গ্রেপ্তারের পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে আরপিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যারহস্য উন্মোচন করা হয়েছে উল্লেখ করে কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে আসামিরা তাদের পূর্বপরিচিত ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে হত্যা করে তার ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে রংপুর সদরের লাহড়ীর হাটে এলাকায় তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে আলেফ উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এরপর ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে হত্যা করে তার রিকশা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভিকটিম আলেফ উদ্দিনকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওধুষ খাওয়ান। তারপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বুড়াইল বাজার চিলারঝাড় গ্রামের পাশের কয়ার দোলায় ফাঁকা জমিতে নিয়ে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবন করিয়ে অচেতন করেন। পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দা দিয়ে প্রথমে গলা কেটে এরপর মাথা, হাত ও পায়ের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে আসামিরা। আরপিএমপি কমিশনার আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। রোববার ভোরে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও ভিকটিমের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশাটি একটি ভাংড়ির দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর চাঁদখানা গ্রামের নবাব আলীর ছেলে সম্রাট গোলজার (৩৫), রংপুর নগরীর কোবারু ডাক্তারপাড়ার মৃত ছইমুদ্দিনের ছেলে বকুল মিয়া (৫২), একই এলাকার মৃত জাহির উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৮) এবং সদর উপজেলার মহেশপুর বালাপাড়া গ্রামের মৃত করিম উদ্দিনের ছেলে ভাংড়ি দোকানী ইউসুফ আলী (৩৭)। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
মায়ের জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান
রাজশাহীতে এবেলা ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
আশুলিয়ায় মেরামতের নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে
'বিয়ের গন্ডগোল' নিয়ে জোভান–তটিনী আত্মপ্রকাশ
ভারতে বসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন ফ্যাসিস্টের দোসর আলাউদ্দিন নাসিম
রুশ জ্বালানিখাতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
সিরিয়ার দামেস্কের মসজিদে পদদলিত হয়ে নিহত ৪ জন
কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল
খাদ্য পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজর রাখতে পুনর্গঠন হলো এফপিএমসি
দেশে অস্তিত্বহীন দলবাজরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি
লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত: ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত