‘হুম গুটি’ খেলায় লাখো মানুষের ঢল
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘হুম গুটি’ খেলায় ঢাকঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সকাল থেকে দল বেঁধে শত শত খেলোয়াড়রা খেলার কেন্দ্র স্থল তেলিগ্রাম বড়ইঅটা গ্রামে আসেন। রবিবার সন্ধ্যায় খেলায় লাখো মানুষের ঢল নামে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা) খেলাটি চলছিল পাশ্ববর্তী দশমাইল গ্রামে। এর আগে রবিবার দুপুরে ঐতিহ্যবাহী ‘হুম গুটি খেলা’র আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মালেক সরকার। এসময় বালিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান পলাশ, খেলার আয়োজক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রায় ৪০ কেজি ওজনের হুম গুটি মুক্তাগাছা জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ও বৈলরের জমিদার হেম চন্দ্র রায়ের সীমানা তেলিগ্রাম বড়ইআটা গ্রামে ধানের পতিত জমিতে হাজার হাজার খেলোয়াড়দের মাঝে ছেড়ে দিলে ‘হুম গুটি’ নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। খেলোয়াড়রা পূর্ব,পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ চার ভাগে বিভক্ত হয়ে খেলতে শুরু করেন।
সকাল থেকে ফুলবাড়িয়া, মুক্তাগাছা, ত্রিশাল ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঢাকঢোল ও বাদ্যযন্ত্রের তালে শত শত খেলোয়াড়রা আসেন। সন্ধ্যায়ও দেখা যায় শত শত খেলোয়াড় আসছে খেলতে। গুটি খেলাকে কেন্দ্র করে পৌষ মেলা বসেছিল তেলিগ্রাম বড়ইআটা গ্রামে। গ্রামে গ্রামে চলে উৎসবের আমেজ। দেওখোলা, তেলিগ্রাম, লক্ষিপুর, বড়ইহাটা, ভাটিপাড়া, বালাশ্বর, শুভরিয়া, কালিবাজাইল, দশমাইল, কুকরাইল, কাটাখালি, মোহাম্মদনগরসহ আশপাশের গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের মিলনমেলা হয়।
জানা যায়, মুক্তাগাছা জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ও বৈলরের জমিদার হেম চন্দ্র রায়ের জমির পরিমাপের বিরোধ সমাধানে তাঁদের প্রজাদের মধ্যে কৌশল ও শক্তির খেলা ‘হুম গুটি’র আয়োজন করেছিলেন। খেলার শর্ত ছিল যে জমিদারের প্রজারা ‘হুম গুটি’ নিতে পারবেন, সেই জমিদারের জমির পরিমাপ হবে সাড়ে ৬ শতাংশে এক কাঠা। পরাজিত জমিদারের এলাকার জমির পরিমাপ হবে ১০ শতাংশে এক কাঠা। জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী প্রজারা খেলায় বিজয়ী হয়। এরপর থেকে জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর ‘পরগনা’ এলাকায় জমির পরিমাপ হয় সাড়ে ৬ শতাংশে এক কাঠা। জমিদার হেম চন্দ্র রায়ের এলাকা ‘তালুক’ জমির পরিমাপ হয় ১০ শতাংশে এক কাঠা।
‘হুম গুটি’ স্মৃতি সংসদের পরিচালক এবি সিদ্দিক বলে, ‘হুম গুটি’ খেলার মাধ্যমে দুই জমিদারের জমির পরিমাপ বিরোধ সমাধান হয়েছিল। পূর্ব পুরুষরা প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষ দিন খেলাটি আয়োজন করেছে, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা যুগ যুগ ধরে খেলাটির আয়োজন করে আসছি। হুম গুটি খেলায় নিদৃষ্ট কোন সময় ও খেলায়াড়ের সংখ্যা নেই। খেলার কোন পরিচালনাকারীও নেই। তিনি দাবী করেন, এবছর খেলাটির ২৬৫ তম।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
মায়ের জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান
রাজশাহীতে এবেলা ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
আশুলিয়ায় মেরামতের নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে
'বিয়ের গন্ডগোল' নিয়ে জোভান–তটিনী আত্মপ্রকাশ
ভারতে বসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন ফ্যাসিস্টের দোসর আলাউদ্দিন নাসিম
রুশ জ্বালানিখাতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
সিরিয়ার দামেস্কের মসজিদে পদদলিত হয়ে নিহত ৪ জন
কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল
খাদ্য পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজর রাখতে পুনর্গঠন হলো এফপিএমসি
দেশে অস্তিত্বহীন দলবাজরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১২ বাংলাদেশি
লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত: ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত