বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকেই টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। বাসচালক ও সহকারীরা জানান, ফেস্টুন সাঁটানোকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি কার্যালয়ে হামলার শিকার হন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগীর হোসেন। এসময় ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়টি।

এ ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বরগুনার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। আকস্মিক বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প পরিবহনে যাতায়াত করছেন অনেকেই। বরগুনার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে প্রতিদিন তিন শতাধিক বাস চলাচল করে।

এ বিষয়ে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু বলেন, একটি ফেস্টুন সাঁটানোকে কেন্দ্র করে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন লোকজন নিয়ে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছগীরের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, 'এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা আর কখনও হইনি। আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। স্ত্রী সন্তানের সামনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
হামলা ও ভাঙচুরের কারণে সোমবার সকাল থেকে জেলার সব সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে‌ বলেও জানান তিনি।

তবে এ ঘটনায় জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবু বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সগীর হোসেনের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিচার দাবি করেন।