যার নেক আমল যত বেশি হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সম্মান ও মর্যাদা তত বেশি হবে -ছারছীনার পীর ছাহেব

Daily Inqilab ছারছীনা থেকে মো. আবদুর রহমান

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

 

আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ঈমান ও নেক আমল আবশ্যক। যার নেক আমল যত বেশি হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সম্মান ও মর্যাদা তত বেশি হবে। এ জন্যই সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নেক আমলের ক্ষেত্রে পরস্পরে প্রতিযোগিতা করতেন। হাশরের মাঠে মানুষের নেক আমল ও বদ আমল মিজানের পাল্লায় ওজন করা হবে। যার নেক আমলের পাল্লা ভারী হবে সে জান্নাতে সুখে ও শান্তিতে থাকবে। আর যার নেক আমলের পাল্লা হালকা হবে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
দুনিয়াতে মানুষ নেক আমলের মূল্য বুঝতে পারে না। কিন্তু পরকালে নেক আমলের মূল্য ঠিকই বুঝতে পারবে তখন একটি নেকি কম থাকার কারণে হয়তো কারও জাহান্নামের ফয়সালা হতে পারে। সে তখন একটি নেকি লাভের আশায় তার পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও সন্তানদের কাছে যাবে। কিন্তু নেকি দেওয়ার ভয়ে কেউ পরিচয় দিতে চাইবে না।
নেক আমল কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত হলো আক্বীদা সহিহ হওয়া। যার আক্বীদা সহিহ নয় এবং যার মধ্যে ঈমান পরিপন্থী বিশ্বাস অর্থাৎ কুফর, শিরক ও নিফাক থাকবে তার কোনো নেক আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না এবং পরকালে তা কোনো কাজে আসবে না।
সুতরাং আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্যই নেক আমল করতে হবে এবং সব আমল সুন্নাত তরিকায় করতে হবে। তা হলে আশা করা যায়, আল্লাহ তায়ালা আমাদের নেক আমল কবুল করে জান্নাত দান করবেন। পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ঈমান ও নেক আমল আবশ্যক।
আজ ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলাদ্বয় কুত্বুল আলম, শায়খুল মাশায়েখ পীর শাহ্ সূফী হযরত মাওলানা নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ)-এর ৭২ তম ও মুজাদ্দিদে যামান, কুত্বুল আলম পীর শাহ্ সূফী আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ (রহঃ)-এর ৩৪ তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন বাদ মাগরীব তা’লীম প্রদান শেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে হলিউড তারকার মৃত্যু

লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে হলিউড তারকার মৃত্যু

কুবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

কুবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

সাতক্ষীরা  সীমান্তে  চাষে বাধা দিয়েছে বিএসএফ

সাতক্ষীরা সীমান্তে চাষে বাধা দিয়েছে বিএসএফ

"তালেবান নারীদের মানুষ মনে করে না" : মালালা

"তালেবান নারীদের মানুষ মনে করে না" : মালালা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

মোবাইল ইন্টারনেটে সুখবর ‘শর্ত শিথিল’, থাকছে ১ ঘণ্টার প্যাকেজও

মোবাইল ইন্টারনেটে সুখবর ‘শর্ত শিথিল’, থাকছে ১ ঘণ্টার প্যাকেজও

গভীর রাতে গরিব অসহায় শীতার্ত  মাঝে ইউএনও'র কম্বল বিতরন

গভীর রাতে গরিব অসহায় শীতার্ত মাঝে ইউএনও'র কম্বল বিতরন

বরিশালে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে

বরিশালে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে

সেবা বঞ্চিত হলে অভিযোগ করা যাবে ইসির বিরুদ্ধে

সেবা বঞ্চিত হলে অভিযোগ করা যাবে ইসির বিরুদ্ধে

এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ৩ হাজার শিক্ষক

এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ৩ হাজার শিক্ষক

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নবনিযুক্ত সচিব ছাগলনাইয়ার সন্তান সামছু উদ্দিন

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নবনিযুক্ত সচিব ছাগলনাইয়ার সন্তান সামছু উদ্দিন

বাংলাদেশে শনাক্ত হলো 'রিওভাইরাস’, রোগটি সম্পর্কে যা জানা যায়

বাংলাদেশে শনাক্ত হলো 'রিওভাইরাস’, রোগটি সম্পর্কে যা জানা যায়

আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি

আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়লো ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি

মাসের শেষে আবারো আসছে শৈত্যপ্রবাহ

মাসের শেষে আবারো আসছে শৈত্যপ্রবাহ

বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে পুরস্কার পেলেন, আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি

বর্ষসেরা ফটোগ্রাফার হিসাবে পুরস্কার পেলেন, আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক মুগনিউর রহমান মনি

রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের অফিসিয়াল ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা

না ফেরার দেশে নির্মাতা রায়হান রাফির বাবা

না ফেরার দেশে নির্মাতা রায়হান রাফির বাবা